নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে দিনরাত সমানতালে কৃষকদের ফসলি জমির মাটি ভেঁকু দিয়ে কেটে পকেট তৈরী করে মাটি অন্যত্র বিক্রির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
গত একমাস পূর্বে এই মৌসুমে ইরি ধান কাটার পর থেকে উপজেলার কোলাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ পাইকসা মৌজার ফসলি জমির মাটি ভেঁকু মেশিন দিয়ে কেটে পকেট তৈরি করছে এবং মাটি অন্যত্র বিক্রির অভিযোগ উঠেছে কোলাপাড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সোহেল শেখের বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দক্ষিণ পাইকসা এলাকায় কৃষকদের বেশ কয়েকটি ফসলি জমির মাটি ভেঁকু দিয়ে পুকুরের সমান কেটে ট্রলিযোগে মাটি বিভিন্ন বাসাবাড়িতে বিক্রি করছেন সোহেল মেম্বার। তার এ মাটি কাটায় যাতে কেউ বাধা না দেয় সেজন্য কৃষকদের ভয়-ভীতি দেখানো হয়।
স্থানীয় জমির মালিক ও কৃষকদের অভিযোগ, কৃষিজমির মাটি এতটাই গভীর করে কেটে নিয়ে যায় যে, কেউ দেখলে পুকুর না বলে উপায় থাকবে না। তাদের মতে, প্রতিটি জমি ভেঁকু দিয়ে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ ফুট গর্ত করে কেটে নিচ্ছে মেম্বার সোহেল। ফলে পাশের জমির মাটি স্বভাবতই ঐ গর্তে পড়ে যায় এবং তা বিনা টাকায় ও বিনা অনুমতিতে নিয়ে যায় সে। এ কারণে অনেক জমির মালিকদের বাধ্য হয়েই মাটি বিক্রি করতে হচ্ছে।
ফসলি জমি রক্ষায় স্থানীয় ভুক্তভোগী কৃষকেরা প্রশাসনসহ চেয়ারম্যানদের কাছে গিয়েও কোন সুফল পায়নি। বর্তমানে ফসলি জমি পরিণত হচ্ছে ডোবা ও পুকুরে। ফলে সর্বস্বান্ত হচ্ছে প্রান্তিক কৃষকরা। জমির মালিকগণ সোহেল মেম্বারের ভয়ে মুখ খুলতে রাজি না হলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ এলাকার সাধারণ জনগণ তার কর্মকান্ডের নিন্দা জানান।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য সোহেল শেখ জানান, আমি ঢাকায় আছি। এসে আপনাদের সকলের সাথে মিলতাল করবো।
কোলাপাড়া ইউনিয়নের সহকারী তহসিলদার আমির হোসেন বলেন, এর আগে সোহেল মেম্বারকে দুইবার জরিমানা করেছি। এরপরেও মাটি কাটছে। আমি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
শ্রীনগরে ফসলি জমির মাটি কাটার অভিযোগ
আগের পোস্ট