নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রীনগর উপজেলার রাঢ়ীখাল ইউনিয়নের বালাশুরে চিহ্নিত মাদক কারবারি মো. লিটন ভিস্তী ওরফে বোমা লিটনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন স্থানীয়রা। লিটনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের হাত থেকে বাঁচতে এলাকাবাসী মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, র্যাব-১০ ভাগ্যকুল ক্যাম্প ও শ্রীনগর থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর এর প্রতিকার চেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করেছেন। লিটন ভিস্তী বালাশুর এলাকার মরহুম ওয়াজদ্দিন ভিস্তীর ছেলে। বিস্ফোরক জাতীয় দ্রব্য, আতশবাজি ও চকলেট বোম কেনাবেচা ব্যবসা করায় লিটন ভিস্তী অত্র এলাকায় বোমা লিটন হিসেবে পরিচিত।
স্থানীয়রা জানায়, আমরা বালাশুর ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা এখন বোমা লিটনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও অত্যাচারের শিকার। সে উৎকোচ নিয়ে বিভিন্ন ধরণের অপরাধমূলক কর্মকান্ডের পক্ষে অবস্থান নিয়ে নিরীহ মানুষকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বেড়ান। তার এসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করলে মানুষকে মিথ্যা মামলা দেওয়ার ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। এছাড়াও লিটন ভিস্তী এলাকায় বোমা/পটকা ব্যবসার আড়ালে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এতে এলাকার যুব সমাজ এখন হুমকির মুখে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লিটন এলাকায় চকলেট বোম, পটকাসহ অন্যান্য বোমা জাতীয় ব্যবসার আড়ালে মাদক ব্যবসা করেন। তার বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপে এলাকাবাসী বিক্ষুদ্ধ। লিটনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে গণস্বাক্ষরিত অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
অপর একটি সূত্র জানায়, গাজীপুরের একটি অস্ত্র মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী লিটন ভিস্তী। সে ওই মামলায় ১২ বছর জেল খাটে। জেল থেকে মুক্ত হয়ে এলাকায় এসে সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করে।
এ বিষয়ে জানতে মো. লিটন ভিস্তীকে কল করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে মোবাইল ফোনটি কেটে দেন। পরে বারবার চেষ্টা করেও অভিযুক্ত লিটন ভিস্তীর মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
শ্রীনগর থানার ওসি (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।