নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের উত্তর বালাশুরে একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে। এসব ঘটনার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসকের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বাদী।
গতকাল বুধবার এই মর্মে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগের কপি থেকে জানা যায়, শ্রীনগর থানার মামলা নং- ২(১১)২৩। মামলার ১নং আসামী আশরাফ প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জাল জালিয়াতি করে হাইকোর্টের জাল জামিননামা জমা দিয়েছেন শ্রীনগর থানায়। সেই জামিননামার বলে তিনি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এই জামিননামার কপি হাইকোর্ট, মুন্সীগঞ্জ জেলা জজ কোর্টের কোথাও নেই। তল্লাশি দিয়ে কোথাও এই জামিননামার নথির হদিস পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন বাদী চাঁন মিয়া।
সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট নীলিমা আফরোজ এর একটি প্যাড ব্যবহার করে তার স্বাক্ষরিত হাইকোর্টের জামিননামার একটি প্রত্যয়ন পত্রকে ২ সপ্তাহের জামিননামা বলে চালিয়ে দেয়া হয়েছে। যার সাথে হাইকোর্টের কোন আদেশনামা নেই।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট নীলিমা আফরোজ তার সেলফোনে জানান, হাইকোর্টে জামিন আবেদন করে জামিনের আদেশ পেয়েই আমি প্রত্যয়নপত্র দিয়েছি। আমি এখন কোর্টে আছি, কোর্ট থেকে নেমে বিষয়টি আমি দেখছি বলে কেটে দেন।
বাদী ও এলাকাবাসীর দাবী, দ্রুত তাকে গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে মামলার আয়ু এস.আই আরিফুল ইসলাম জানান, হাইকোর্টের জামিননামা যদি ভূয়া হয় তবে এডভোকেট সাহেবও ফেঁসে যাবেন।
মুন্সীগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের পেসকার আরিফ জানান, একজন এডভোকেটের প্যাডে জামিননামা এই প্রথম দেখলাম। এটা ভূয়া।