নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের ইমামগঞ্জ-সতুরচর পর্যন্ত প্রায় ৪ কিঃমিঃ ইটের রাস্তাটির এখন বেহাল দশা। এ রাস্তার সংস্কারের অভাবে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অসংখ্য গর্ত আর খানাখন্দে ভরা। মানুষ আর যানবাহনের এখন এই সড়কে চলাই দায় হয়ে উঠেছে। এর ফলে স্কুল, কলেজ, ব্যাংক, বীমা, পোষ্ট আফিস, ইউনিয়ন পরিষদ, থানা, বিভিন্ন এনজিও অফিসসহ গুরত্বপূর্ণ অফিসে যাতায়াতে চরম সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি জলাবদ্ধতার কারণে পানিতে ডুবে যায়। এতে ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা পড়েছে চরম দুর্ভোগে। সরেজমিনে গতকাল বুধবার দেখা যায়, ইমামগঞ্জ বাজার থেকে সতুরচর গ্রাম পর্যন্ত ৪ কিঃমিঃ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রাস্তায় ইটের সলিং উঠে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন মেরামত না করায় এখন রাস্তার অনেক স্থান থেকে ইট চুরি হয়ে গেছে। আবার কোথাও হয়েছে বড় বড় গর্ত। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ৬টি গ্রামের ৭ হাজার মানুষ। সতুরচর গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী ও জামিয়া রসুলপুর তাহারুননেছা হেফজুল কোরআন মাদ্রাসার সহ-সভাপতি অহিদুল ইসলাম অহিদ বলেন, এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন দৈনন্দিন প্রয়োজন মিটাতে কয়েক হাজার মানুষের চলাচল করতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়তে হয়। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের কারণে বিক্রমপুরে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই রাস্তাটি ঢাকা-মাওয়া রোডের কাছে থাকা সত্ত্বেও রাস্তাটির প্রতি কারো কোন সুনজর নেই। একজন প্রসুতি মাকে হাসপাতালে নিতে হলে মসজিদের খাটিয়া দিয়ে নিতে হয়। তাই অত্র এলাকার বাসিন্দাদের প্রাণের দাবী জনদুর্ভোগ লাঘবে অতি জরুরী ভিত্তিতে যাতে রাস্তাটি কার্পেটিং করা হয়। রসুলপুর সতুরচর ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শহিদুল্লাহ জানান, ‘জমে থাকা পানির মধ্য দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হচ্ছে। কখনও কখনও জমে থাকা পানির নীচে খানাখন্দে পড়ে গিয়ে জামা-কাপড় ভিজিয়ে শিক্ষার্থীকে বাড়িতে ফিরে যেতে হচ্ছে। সিরাজদিখান উপজেলা প্রকৌশলী শোয়েব বিন আজাদ বলেন, ‘রাস্তাটি সম্পর্কে বাসাইল ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে আমার কথা হয়েছে। আশা করছি জনসাধারনের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’