নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের নৌকা মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নাম কেন্দ্রে না পাঠানোর কারণে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে এলাকাবাসী ও মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। গতকাল রবিবার বিকাল ৫টায় উপজেলার ইছাপুরা চৌরাস্তা থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যন্ত দাঁড়িয়ে নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ৫ শতাধিক মানুষ এই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। ইছাপুরা ইউনিয়নের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি সুখন চৌধুরী, জৈনসার ইউনিয়নের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী, আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আবুল খায়ের বেপারী এবং কোলা ইউনিয়নের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী, আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি হাজী মহিউদ্দিন আহাম্মেদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের বক্তব্যে বলেন, আমরা যারা আওয়ামীলীগের নিবেদিত প্রাণ, পূর্বপুরুষ থেকে আজও আওয়ামীলীগের সুখে-দুঃখে রয়েছি, বিভিন্ন ঘটনায় হামলা মামলার শিকার হয়েছি, জেল খেটেছি, শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি তারা আজ অবহেলিত। আমাদের দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশায় কাগজ-পত্র জমা দিয়েছি, তা তিনি কেন্দ্রে পাঠাননি। তার স্ত্রী, ছেলে এবং মেয়ের জামাইয়েরটা পাঠিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ইউনিয়নে নব্য আওয়ামীলীগ সাবেক বিএনপি নেতাদের কাগজ-পত্র কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন। আমরা তাকে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ধিক্কার জানাই।
এ উপজেলা থেকে ৭০ জন নৌকার মনোনয়ন চেয়ে কাগজ-পত্র জমা দিয়েছেন। সেখান থেকে ৪২ জনের নাম কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মনোনয়ন বোর্ডের নিকট আমাদের আকুল আবেদন, এই উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ত্যাগী নেতাদের নাম বাদ পড়ার বিষয়টি আপনারা দেখবেন। এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইছাপুরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম বাবু চৌধুরী, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক রশিদ শেখ, সদস্য শাজাহান দেওয়ান, কোলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ শাজাহান বেপারী, ইছাপুরা ইউনিয়ন যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মিসর তালুকদার, ছাত্রলীগ সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম রানা, সাধারণ সম্পাদক ফাহিম তানজিল, কে.বি ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মাসুম চৌধুরী প্রমুখ।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, যে প্রার্থীরা আমাদের কাছে সিভি জমা দিয়েছে তাদের সিভি জেলা কমিটির কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, যেহেতু এক একটি ইউনিয়নে ৫-৭ জন বা এর বেশী প্রার্থী থাকায় জেলা আওয়ামী লীগ প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে ৩-৪ জন করে প্রার্থীর নাম কেন্দ্রে পাঠিয়েছে। আমরা ৭০ জন প্রার্থীর সিভি জেলা কমিটির কাছে পাঠিয়েছি।