নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে যথাযথ মর্যাদায় পবিত্র আশুরা ও শিরনী মোবারক উদযাপন করা হয়েছে। গতকাল রবিবার উপজেলার শেখরনগর ইউনিয়নের উত্তর পাউসার গ্রামে দরবারে শাহে কদমী পাউসার শরীফে আওলাদে রাসূল মুহিউল কুলুব মাহবুবে রহমানী ইমামত তরিক হযরত শাহ সূফী সৈয়দ মাওলানা আমজাদ আলী আল হাসানী আল কদমী (রা.) এর রওজায় দরবারে শাহে কদমীতে সোহাদায়ে কারবালার স্মরণে দিনব্যাপী (আশুরা) মহররমের শিরনী যথাযথ মর্যাদার সহিত আদায় করা হয়। গতকাল রবিবার ফজরের নামাজের পর থেকে দরবার শরীফের প্রধান গদীনশীন সাজ্জাদানশীন আওলাদে রাসূল শাহ সূফী সৈয়দ মাওলানা আ.হ.ম মাহবুব উল্লাহ আল হাসানী আল কদমীর নেতৃত্বে দেশ বিদেশের শত শত ভক্ত আশেকান মুরিদানদের নিয়ে দরবার শরীফে জিকির আজকার ও মিলাদ মাহফিলের মধ্যে দিয়ে দিনটি পালিত হয়। আজ সোমবার বাদ ফজর বিশ্ব মুসলিমদের জন্য শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়ার মধ্য দিয়ে মাহফিলের সমাপ্তি হয়। গদীনশীন হুজুর কেবলা সৈয়দ আ.হ.ম মাহবুব উল্লাহ আল হাসানী আল কদমী মাহফিলে ইসলামের মর্মান্তিক ঐতিহাসিক কারবালার ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, রাসূল (সা.) আহলে বাইতের অন্যতম সদস্য জান্নাতের যুবকদের সরদার ইমাম হোসাইন (রা.) এর শান মান তিরমিজি শরিফের হাদীসের বর্ণনার মাধ্যমে আশেকানদের কাছে তুলে ধরেন হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণীত আছে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন আহেব্বুনী লে হুব্বিল্লা ওয়া আহেব্বু আহলে বায়াতী লেহুব্বী অর্থাৎ রাসুল (সা.) বলেন, আমাকে ভালোবাসিতে হইবে আল্লাহর ভালোবাসা পাইবার জন্য এবং আহলে বাইতকে আমার পরিবারকে ভালোবাসতে হবে আমার ভালোবাসা পাবার জন্য। মূলত কারবালার ঘটনা ইসলামের মাঝে সবচেয়ে মর্মান্তিক ঘটনা। কেননা ঐ দিন কারবালার ময়দানে ইমাম হোসাইন (রা.) কে সেদিন কোন কাফের ইহুদিরা কতল করে নাই ঘাতকেরা সকলেই ইয়াজিদ এর চেলা নামধারী মুসলমান ছিলো। ইমাম হুসাইন (রা.) চাইলে ইয়াজিদকে মেনে নিয়ে বাদশাহী জীবনযাপন করতে পারতেন কিন্তু ইমাম হুসাইন নানাজানের ইসলামের জন্য নানার উম্মতগণকে ঈমানদার হয়ে সত্য ইসলাম থাকার জন্য ছোট ছোট শিশু বাচ্চা নিয়ে কারবালায় শহিদ হন। কারবালার ঘটনা থেকে আমাদের ইমাম হোসাইন (রা.) শিক্ষা দিয়ে গেলেন মুসলমান আর ঈমানদার এক জিনিস নয়। উম্মতে মুহাম্মদিকে অবশ্যই রাসূল (সা.) হাদীস অনুসারী আহলে বাইয়াতকে মুহাব্বত করে ঈমানদার মুসলমান হতে হবে। তবেই পরকালে শান্তি পাবে।