নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, আগামী প্রজন্মকে সুশিক্ষিত, মানবিক ও দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ শান্তিপূর্ণ-মানবিক ও কল্যাণকর রাষ্ট্র হিসেবে বিনির্মাণ করতে হলে আগামী প্রজন্মকে সেভাবে গড়ে তুলতে হবে।
গতকাল সোমবার রামপাল ইউনিয়নের পানহাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। পানহাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আবুল বাশার রনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসিমা খানম, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য আরিফুর রহমান, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আব্দুর রব, আলী আজগর বেপারী, সাঈদ হাসান সানি, মহিউদ্দিন প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, ছাত্রজীবন মানুষের জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। জীবনকে বিকশিত করে গড়ে তোলার এটাই উপযুক্ত সময়। ছাত্রজীবন হচ্ছে মানব জীবনের সাফল্যের বীজ বপনের সময়। এসময় একজন শিক্ষার্থী যে বীজ বপন করবে ভবিষ্যৎ জীবনে সেরূপ ফল সে ভোগ করবে। সেজন্য দেশপ্রেম বোধের শিক্ষা ছোটকাল থেকেই নিতে হবে। বাংলাদেশকে গভীরভাবে ভালোবাসতে হবে। মাতৃভাষাকে ভালবাসতে হবে। মানুষকে মানুষ হিসেবে মর্যাদা দিতে হবে। বড়দেরকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করতে হবে এবং ছোটদের প্রতি স্নেহ ও ভালোবাসা দিয়ে সুন্দর সমাজের ভিত রচনা করতে হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষার আলো মানুষের মনকে আলোকিত করে, বিকশিত করে মানবিক গুণাবলীকে। মানবিক গুণাবলী অর্জনের একটি অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আর মানসম্মত পাঠদান পদ্ধতি, শৃঙ্খলাবদ্ধতা, আধুনিক নৈতিক গুণাবলী অর্জনের সুযোগ নিশ্চিত করতে হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
তিনি বলেন, ছোট্ট সোনামনিরা তোমরাই আমাদের ভবিষ্যৎ; আগামী দিনে তোমরাই এই সমাজের, এই দেশের নেতৃত্ব দেবে। সেজন্য তোমাদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। লেখাপড়ায় মনোযোগী হতে হবে। পিতা-মাতা অভিভাবক ও শিক্ষকদের আদেশ-নির্দেশ পরামর্শ মেনে চলবে। নিজেকে আলোকিত মানুষ হিসেবে- ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সর্বদা সচেষ্ট থাকবে।
তিনি বলেন, আগামী প্রজন্মকে দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে না পারলে উন্নত-সমৃদ্ধ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র বিনির্মাণ করা সম্ভব হবে না। আর আগামী প্রজন্মকে দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হলে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুমহান আদর্শ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে শিক্ষার্থীদের পরিচয় ঘটাতে হবে। ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের কল্যাণে আত্মনিবেদিত দেশপ্রেমিক প্রজন্ম গড়ে তুলতে হলে নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে।