নিজস্ব প্রতিবেদক
সারা দেশের ন্যায় আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে মুন্সীগঞ্জে করোনা প্রতিরোধে প্রাথমিকভাবে টিকা দেয়া হবে বলে মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিস সূত্র থেকে জানা গেছে। এই টিকা নিতে প্রাপ্ত নাগরিকদের অনলাইনে প্রাথমিক চাহিদা অনুযায়ী সকল তথ্য সন্নিবেশিত করে আবেদন করতে হবে প্রথম পর্যায়ে। পেশা অনুযায়ী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রথমভাগের নাগরিকরা এ সুবিধায় টিকা নিতে পারবেন। অনলাইনে আবেদনের জন্য এ বিষয়ে তথ্যাদি বা নিয়মাবলী নাগরিকরা খুব শীঘ্রই যার যার মাধ্যম অনুযায়ী জানতে পারবেন বলে শোনা যাচ্ছে।
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে শুধুমাত্র মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার অনলাইনে আবেদনপ্রাপ্তির সৌভাগ্যবান নাগরিকরা এখান থেকে প্রথম যাত্রার টিকা নিতে পারবেন বলে মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া অন্য আরো ৫টি উপজেলার নাগরিকরাও অনুরূপভাবে নিজ নিজ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে এই সেবা গ্রহণ করতে পারবে। প্রাথমিক পর্যায়ে মুন্সীগঞ্জে ৪ হাজার ৮শ’ ভায়াল (কাঁচের শিশি) করোনা প্রতিরোধ ভ্যাকসিন বরাদ্দ পাওয়া গেছে বলে মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রথম পর্যায়ে এ জেলার জন্য ৪ হাজার ৮শ’ ভায়াল করোনা প্রতিরোধ ভ্যাক্সিন বরাদ্দ দিয়েছেন। প্রতি ভায়ালে ১০ জন ব্যক্তিকে এ টিকা দেয়া সম্ভব হবে বলে জানা গেছে। অর্থাৎ ভায়াল = ১০ ডোজ। প্রতিজনকে ১ ডোজ করে দিলে ৪৮ হাজার জনকে এ ভ্যাকসিন দেয়া সম্ভব হবে বলে জানা গেছে।
মুন্সীগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাঃ মো. আবুল কালাম আজাদ গতকাল বুধবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে জানান, এ জেলার জন্য ৪ হাজার ৮০০ ভায়াল ভ্যাক্সিন বরাদ্দ পাওয়া গেছে। প্রতি ভায়ালে ১০ ডোজ রয়েছে। করোনা প্রতিরোধে প্রতি ব্যক্তিকে ১ ডোজ ভ্যাক্সিন দেয়া হবে এ বরাদ্দ থেকে।
ইতোমধ্যে করোনা ভ্যাক্সিন গ্রহণের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যে কমিটির সভাপতি হচ্ছেন সিভিল সার্জন, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি, পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি এবং ওষুধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক এ কমিটির সদস্য। প্রথম পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের এ ভ্যাকসিন দেয়া হবে। তবে মুন্সীগঞ্জে যে পরিমাণ ভ্যাক্সিন আসবে তা দিয়ে প্রশাসন ও সংবাদকর্মীসহ অনেককেই এ ভ্যাক্সিন দেয়া যাবে সূত্রমতে দাবি করা হচ্ছে।