নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আগামী ৭ জানুয়ারি আবারও শান্তি-মুক্তি গণতন্ত্র-প্রগতি উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির প্রতীক নৌকা মার্কায় ভোট দিন। আগামী প্রজন্মের জন্য একটি মানবিক-কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠনে সহায়ক হোন।
গতকাল সোমবার মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগকালে এ কথা বলেন তিনি। এসময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র হাজী আব্দুস সালাম, মিরকাদিম পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান বাসু, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ কালাম, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মুন্সীগঞ্জ জেলা কমান্ডের সভাপতি জালাল উদ্দিন রুমি রাজন, পৌর কাউন্সিলর রহিম বাদশা, দ্বীন ইসলাম, আওলাদ হোসেন, টুলু, শাহানা বেগম, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি শেখ মনিরুজ্জামান রিপন, পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও যুবলীগ নেতা জাহিদ হাসান প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, বিগত ১৫ বছর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মাননীয় সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির শক্তিশালী ভিত রচনা করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত রাষ্ট্র থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ^সভায় আজ আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা গ্রামীণ জনপদে শহরের মতো উন্নত নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করেছেন। বর্তমানে দেশে সড়ক-মহাসড়ক ১ লাখ ২২ হাজার ৫৫২ কিলোমিটারে উন্নীত হয়েছে। ২০০৯ সাল হতে এ পর্যন্ত সারাদেশে ২৩ হাজারের বেশি দৈর্ঘ্যরে মহাসড়ক তৈরি করা হয়েছে। ১৫ বছরে পল্লী খাতে ৭৫ হাজার কিলোমিটার পাকা সড়ক, ৪ লক্ষ ৩০ হাজার ২০ মিটার নতুন ব্রিজ নির্মাণ, ১,০৯,০৭৮ কি.মি. পাকা পল্লী সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ, ১,৭৬৭টি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ, ৩৯৯টি উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ বা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এছাড়া ২,৮৪২টি গ্রোথ সেন্টার ও হাট-বাজার উন্নয়ন, ১২৪৬টি সামাজিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণ এবং ১,৪৬৫টি সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ বা পুনঃর্র্নিমাণ করা হয়েছে। নাগরিক জীবনমান উন্নয়নে ১১ হাজার ৭৮ কিলোমিটার সড়ক ও ফুটপাত নির্মাণ, ৪,৫৭০ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, ১৮,৮৪৫ মিটার ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ, ৪৫টি বাস ও ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ ও ৫৩টি কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। ১৫ বছরে বিভিন্ন মহাসড়কে ১ হাজার ৫৫৮টি সেতু নির্মাণ/পুনঃনির্মাণ এবং ৭ হাজার ৪৯৮টি কালভার্ট নির্মাণ/পুনঃনির্মাণ হয়। ১৫ বছরে বিভিন্ন মহাসড়কে ছোট-বড় প্রায় ১ হাজার ৩০০টি সেতু নির্মাণ করেছে।
তিনি বলেন, সারাদেশের ন্যায় মুন্সীগঞ্জেও সড়ক-মহাড়ক ব্রীজ-কালভার্ট নির্মিত হয়েছে এবং ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটেছে। স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দিরসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ-গজারিয়ার জনগণ আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছিল আমি তা পালনে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। জনগণের সেবা করার আন্তরিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মুন্সীগঞ্জবাসী আমাকে আরেকবার সুযোগ দিলে মুন্সীগঞ্জ-গজারিয়া এলাকার উন্নয়নে আমার অসম্পন্ন কাজসমূহ সম্পন্ন করার সুযোগ পাবো। মুন্সীগঞ্জের মাটি ও মানুষের কল্যাণে আত্মনিবেদিত থেকে কাজ করার চেষ্টা করবো।
শান্তি-মুক্তি গণতন্ত্র-প্রগতি উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির প্রতীক নৌকা মার্কায় ভোট দিন – অ্যাড. মৃণাল কান্তি দাস এমপি
আগের পোস্ট