নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়া উপজেলাসহ এ অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গত দু’তিন দিনের চেয়ে আজ পানি অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এই মুহুর্তে প্রয়োজন প্রস্তুতির। বন্যা একটি প্রাকৃতিক দূর্যোগ। ভৌগলিক কারণে চীন, ভারত আমাদের উজানের দেশ, সেসব দেশেও বন্যা হচ্ছে। ক্ষয়-ক্ষতি ও প্রাণহানিও আমাদের চেয়ে বেশি হচ্ছে। ভারত বাংলাদেশের অভিন্ন নদী থাকার কারণে বন্যার পানি বাংলাদেশে আসবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এবারের বন্যা আমাদের উন্নয়নে অনেক বাঁধা সৃষ্টি করবে এবং বন্যা পরবর্তী ক্ষয়-ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে। বন্যা মোকাবিলায় অপ্রস্তুত সিলেটবাসী বুঝতে পারছে বন্যা কি জিনিস। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও নিউজে মানুষের অসহায়ত্বের ছবি, ফুটেজ দেখে অজান্তে চোখের কোণে জল গড়িয়ে পড়ছে। গত শত বছরের মধ্যে বন্যায় এত বেশি পানি আসেনি এদেশে। ভয়াবহ এই বন্যায় মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে সিলেট অঞ্চলে। ঘরে ঘরে হাহাকার, পানিতে ভাসছে মানুষ, সুপেয় পানির অভাবে নোংরা পানি পান করছে অনেকে। ক’দিনের মধ্যেই খাদ্য সঙ্কট দেখা দিতে পারে। প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকায় বন্যার বিস্তৃতি বাড়ছে। লাখ লাখ মানুষ পানি বন্দি হচ্ছে।
গত ক’দিন যাবৎ ভারতের চেরাপুঞ্জি ও আসামসহ দেশের উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। বন্যার সার্বিক অবস্থার তেমন কোন উন্নতি নেই। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য বলছে, বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে সেই সাথে রোদ না উঠলে বন্যার বিস্তৃতি অনেক বাড়বে। এই যখন অবস্থা, তখন আমাদের এলাকায় (গজারিয়া, মুন্সীগঞ্জ) বন্যার পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ ও দীর্ঘ মেয়াদী হতে পারে। ইতিমধ্যে গজারিয়া-মুন্সীগঞ্জে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। তাই আসন্ন দূর্যোগ মোকাবিলায় এখনই সতর্ক ও বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিত।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। উপজেলার সাইক্লোন সেন্টারসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আমরা নির্দশনা দিয়ে রেখেছি। এছাড়া ত্রাণও মজুদ রাখা হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আজ (সোমবার) আমরা এ বিষয়ে সভা করেছি। সকল দপ্তরকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।