নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়া উপজেলায় টেঙ্গারচর ইউনিয়নে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হতে বড়ইকান্দি ভাটেরচরে পাকা রাস্তা ভেঙে গর্ত ও জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগের শিকার এলাকাবাসী, সিএনজি-অটোরিকশাসহ ছোট পরিবহন চালক, চলাচলকারী যাত্রীরা।
গতকাল শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাটেরচর বাসস্ট্যান্ড হতে বড়ইকান্দি ভাটেরচর গ্রামের শেষ পর্যন্ত একাধিক স্থানে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতায় পাকা সড়কে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে চলাচলকারী যাত্রী, পরিবহন চালক ও এলাকাবাসী। এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে ইউনিয়নের বাসিন্দারা। এ রাস্তায় সিএনজি, অটোরিক্সা ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন চলাচল করে না। বর্ষায় রাস্তার গর্তে পানি জমে গেলে এসব যানবাহনও চলাচল করতে পারে না। দ্রুত রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। বড়ইকান্দি ভাটেরচর গ্রামের মাসুমের বাড়ি সংলগ্ন পাকা রাস্তায় জলাবদ্ধতায় আসা-যাওয়া করছে সিএনজি, অটোরিক্সাসহ বিভিন্ন ধরনের ছোট পরিবহন। ভাটেরচর স্ট্যান্ড হতে বড়ইকান্দি গ্রামে যেতে রাস্তায় একাধিক স্থানে ছোট-বড় গর্ত থাকায় যান চলাচলে খুব সমস্যা হয়। এছাড়াও সামান্য বৃষ্টিতেই জলাশয়ের সৃষ্টি হয় রাস্তায়। দূর্ভোগে পড়ছে সিএনজি চালক, অটোরিকশা চালক এবং ছোট পরিবহনে চলাচলকারী নারী-পুরুষ যাত্রী। খানাখন্দ এই জলাশয়ের কারণে যাত্রীদের পরিধেয় পোশাক নষ্ট হচ্ছে। কখনো অটোরিকশা উল্টিয়ে ঘটছে দূর্ঘটনা। প্রতিনিয়ত ক্ষতির শিকার হচ্ছে অটোমিশুক চালকেরা। রাস্তায় জলাবদ্ধ বৃষ্টির পানিতে গাড়ি নষ্ট হচ্ছে দ্রুত সময়ে।
অটোরিকশা চালকসহ এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত সময়ে রাস্তার এই খানা-খন্দ ভাঙ্গা রাস্তা মেরামত করার। সিএনজি চালক জসিম উদ্দিন তোতা বলেন, রাস্তার এ বেহাল দশার কারণে এখন অনেকেই এ পথে চলাচলের সময়ে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। এ বিষয়ে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এছাড়াও রাস্তাটি দিয়ে ভাটেরচর বাজারে, ভাটেরচর দে এ মান্নান পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও বড়ইকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন স্কুল ও ভাটেরচর মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা যাতয়াত করে। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটিতে জলাবদ্ধ বৃষ্টির পানি থাকার কারণে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে যেতে পারে না শিক্ষার্থীরা। মোটরসাইকেল চালক ওমর ফারুক বলেন, সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে দিনের বেলায় কোনরকম চলাচল করলেও রাতের বেলা সম্ভব না।
টেঙ্গারচর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব বোরহান উদ্দিন দেওয়ান বলেন, আমাদের প্রায় প্রতিনিয়ত এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। রাস্তাটির বেহাল দশা গত কয়েকমাস ধরে। অতি দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা না হলে এখানে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটারও সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বৃহত্তর জনস্বার্থে দ্রুত রাস্তাটি মেরামত করা প্রয়োজন।
টেঙ্গারচর ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান ফরাজী জানান, এলাকার গণমানুষের দূর্ভোগ লাঘবে একাধিকবার উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা সভা এবং উন্নয়ন সভায় রাস্তা সংস্কারের চাহিদা দেওয়া হয়েছে। মেরামত বরাদ্দ না থাকায় সংস্কার হচ্ছে না।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে এলজিইডির গজারিয়া উপজেলার উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ইশতিয়াক আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কয়েক হাজার মানুষ এ রাস্তাটি ব্যবহার করেন। তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে এ অর্থবছরে রাস্তাটির নির্মাণ কাজ শুরু করা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।