নিজস্ব প্রতিবেদক
গতকাল বুধবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গজারিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে আলোচনাকালে বলেন, ছোট্ট রাসেলের হৃদয়জুড়ে ছিল মানুষের জন্য ভালোবাসা। তার স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে মানুষের সেবায় নিজেকে উজাড় করে দেবে। ঘাতকের বুলেট শেখ রাসেলকে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুযোগ দেয়নি। তবে ঘাতকেরা তার স্বপ্নকে হারাতে পারেনি। এ সময়ের লাখো শিশুর মাঝে আরও উজ্জ্বল হয়ে টিকে আছে শেখ রাসেলের স্বপ্নের বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বুলেটের শব্দ, বীভৎসতা আর আর্তচিৎকার শুনে অবুঝ শিশু রাসেল কান্নাজড়িত কণ্ঠে ঘাতকদের বলেছিল, ‘আমি মায়ের কাছে যাব।’ পরে মায়ের লাশ দেখার পর অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে জোর মিনতি করে বলেছিল, ‘আমাকে হাসু আপার কাছে পাঠিয়ে দাও।’ ছোট্ট নিষ্পাপ শিশুর আকুতিও নরপশুদের মন গলাতে পারেনি। ঘাতকরা ভেবেছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কোনো উত্তরাধিকার রাখলে ভবিষ্যতে তাদের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারে। মাত্র ১০ বছর ৯ মাস ২৭ দিন বয়সে এই প্রতিভাবান শিশুর জীবনপ্রদীপ নিভে যায়। এমন নিষ্ঠুর হত্যাকান্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
তিনি আরও বলেন, শিশু-কিশোর তরুণদের কাছে শেখ রাসেল একটি ভালোবাসার নাম, একটি আদর্শের নাম। শেখ রাসেলের জীবনের প্রতিটি গল্প এদেশের শিশু-কিশোর, তরুণদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। তাহলেই শেখ রাসেল বাংলাদেশের কোটি কোটি শিশু-কিশোর, তরুণদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। শহীদ শেখ রাসেলের মৃত্যু নেই। তিনি ইতিহাসের মহাশিশু হিসেবে প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।