নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চুড়াইন গ্রামের ইউসুফ শিকদারের মেয়ে ১ সন্তানের জননী রাবেয়া আক্তার ওরফে সোনালীর (২৪) সাথে ৭ বছর পূর্বে ভালবেসে বিয়ে হয় বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের ইউনুছ সরদারের প্রবাসী ছেলে জাহাঙ্গীরের সাথে। বিয়ের পর থেকে স্বামীর সংসারে প্রতিনিয়ত ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। এরপর স্বামী জাহাঙ্গীর তার স্ত্রীকে নিয়ে ৫ বছর পূর্বে টঙ্গীবাড়ী উপজেলার পূর্ব আলদী গ্রামে করিম বেপারীর বাড়ীতে ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছে। এর কিছুদিন পর একই বাড়ীতে রাবেয়া আক্তার সোনালীর ভাসুর, শ্বশুর, শাশুড়ি পাশের ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করে। দুবাই প্রবাসী স্বামী জাহাঙ্গীর সরদার ২/৩ বছর পর দেশের বাড়ীতে আসে। এদিকে ভাসুর, শ্বশুর শাশুড়ি প্রায়ই তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে। এই ঘটনায় কয়েকবার স্থানীয়ভাবে শালিসীর মাধ্যমে মীমাংসা হয়। গত ২২ এপ্রিল বুধবার রাতে একটি মোবাইলের মেমোরী কার্ডকে কেন্দ্র করে ইমোতে স্বামীর সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় ভাসুর আলমগীর সরদার রাবেয়া আক্তার সোনালীকে মারধর করে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাবেয়া আক্তার সোনালীর ঘরের দরজা বন্ধ দেখে বাড়ীর অন্যান্য ভাড়াটিয়া পাশের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে দেখে গলায় ওড়না দিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে। টঙ্গীবাড়ী থানার এস আই নুর আলম জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রাবেয়া আক্তার সোনালী মৃত্যুর পূর্বে একটি চিরকুট লিখে গেছে।