নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর ও লৌহজং দুই সীমান্তবর্তী রাস্তার বেহাল দশা। শ্রীনগর উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন কুকুটিয়া। লৌহজং উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়নের নওপাড়া বাজার থেকে কুকুটিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সিন্দুরদি, খোদাইবাড়ী হয়ে ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেঁষে লৌহজংয়ের কনকসার ইউনিয়নের নাগেরহাট পর্যন্ত প্রায় ৪ কিঃ মিঃ রাস্তার বেহাল দশার কারণে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে দুই উপজেলার তিন ইউনিয়নের বাসিন্দারা। দীর্ঘদিন পূর্বে রাস্তাটি ইটের সলিং করা হলেও মাহিন্দ্র ও ড্রাম ট্রাকযোগে মালামাল আনা নেয়া করায় রাস্তায় দুই পাশ দেবে গিয়ে মাঝখানে উঁচু হয়ে যায় এবং রাস্তার মাঝখান থেকে ইট উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কোন যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলাচল দুস্কর হয়ে পড়েছে। ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সিন্দুরদি, দত্তগাঁও, ভাটপাড়া, রানা, খোদাইবাড়ী, মুসলিমপাড়া, ৮নং ওয়ার্ডের পাঁচলদিয়া, ৬নং ওয়ার্ডের ঝাপুটিয়া, বনগাঁও, লৌহজংয়ের বৌলতলী ইউনিয়নের বৌলতলী, দক্ষিণ চারিপাড়া, কনকসার ইউনিয়নের নাগেরহাটসহ কয়েকটি গ্রামের ১৪/২৫ হাজার মানুষ এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। অনেক মানুষের জীবিকা নির্ভর করে এ রাস্তার উপর। কিন্তু রাস্তার এ বেহাল দশায় উপজেলা ও জেলা শহরের সাথে সড়কপথে যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
সিন্দুরদি গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা জিত রায় বলেন, কয়েকদিন আগে রাতের বেলায় আমার স্ট্রোক হয়েছিল। রাস্তার এমন বেহাল দশার কারণে অটোর ঝাঁকুনিতে আমার দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার মত হয়ে গিয়েছিল। এর দুইদিন পর দত্তগাঁও গ্রামের বাদলের স্ট্রোক হয়েছিল তারও আমার মত অবস্থা হয়েছিল।
ভাটপাড়া গ্রামের অটোচালক লিটন বলেন, এই রাস্তায় দিয়ে আর গাড়ি চালানো সম্ভব না। অন্য কাজ খুঁজতে হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ৭নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, আপনাকে কি বলবো বলার কোন ভাষা আমার নেই। আপনি সামনে থাকলে বললে বুঝতে পারতেন এই রাস্তার বেহাল দশার কারণে কি অবস্থায় আছি আমরা। কোন নারী এক/দুই মাসের মাতৃগর্ভ নিয়ে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করলে তার রাস্তায় ডেলিভারি হবে। শুধু এই রাস্তার কারণে এলাকার নারীরা গর্ভকালীন সময়ে তার পিত্রালয়ে গিয়ে বসবাস করে। যানবাহন তো দূরের কথা পায়ে হেঁটেও এই রাস্তা দিয়ে চলাচল দুস্কর হয়ে পড়েছে। আর এই ইউনিয়নের সব জায়গায় পাকা রাস্তা আছে। একমাত্র আমার ওয়ার্ডে কোন পাকা রাস্তা নেই।
এ ব্যাপারে কুকুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়্যারমান বাবুল হোসেন বাবু বলেন, এই রাস্তা আর নাগরভাগ গ্রামের রাস্তার আইডি নাম্বারসহ আমি এমপি মহোদয়কে বলেছি যেন রাস্তা দুটো দ্রুত সংস্কার করে দেন।
উপজেলা প্রকৌশলী রাজিউল্লাহ বলেন, আমাদের তো অনেক রাস্তা। আমি রাস্তা না দেখা পর্যন্ত কিছু বলতে পারবো না। রাস্তাটি আমাদের আইডিভুক্ত কি না দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
আগের পোস্ট