নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি-মুক্তি স্বাধীনতা ও মানবতার মহানায়ক। ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বিশ্ব শান্তি পরিষদ কর্তৃক ‘জুলিও কুরি’ পদক লাভ তারই একটি নির্দশন।
গতকাল রবিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ পদক লাভের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান আল মামুন, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সুভাষ চন্দ্র হীরা, ডা. জসীম উদ্দিন ভূইয়া, হরগঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল হাই তালুকদার, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসলাম মোল্লা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসেন মোহাম্মদ আল জুনায়েদ প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি-মুক্তি স্বাধীনতা ও মানবতার মহানায়ক। তিনি ছিলেন বিশ্বের শোষিত ও মুক্তিকামী মানুষের অকৃত্রিম সুহৃদ, বৈষম্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াকু বীরসেনানী, জোট-নিরপেক্ষ তৃতীয় বিশ্বের অনন্য প্রবক্তা নিরস্ত্রীকরণে বিশ্বাসী শান্তির দূত। তিনি বাঙালি জাতির স্বাধীনতা নামক মহাকাব্যের মহানায়ক, পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্তির মহান পথপ্রদর্শক, আবহমান বাংলা ও বাঙালির হাজার বছরের আরাধ্য পুরুষ। শৈশব থেকেই তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির মানুষ।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বিশ্ব শান্তি পরিষদ কর্তৃক ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদকে ভূষিত করা হয়। বঙ্গবন্ধুর “জুলিও কুরি শান্তি পুরস্কার” লাভ ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মান।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্বের মুক্তিকামী, নিপীড়িত, মেহনতি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা। শান্তি, সৌভ্রাতৃত্ব, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি আজীবন নিয়মতান্ত্রিক পথে সংগ্রাম করেছেন। জেল, জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করেছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জুলিও কুরি পদক গ্রহণ অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘এ সম্মান কোনও ব্যক্তি বিশেষের জন্য নয়। এ সম্মান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মদানকারী শহীদদের, স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর সেনানীদের। জুলিও কুরি শান্তিপদক সমগ্র বাঙালি জাতির’। তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বশান্তি আমার জীবনদর্শনের মূলনীতি। নিপীড়িত, নির্যাতিত, শোষিত, শান্তি ও স্বাধীনতাকামী মানুষ যেকোনো স্থানেই হোক না কেন, আমি তাদের সঙ্গে আছি। তিনি অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে সেই অর্থ দুনিয়ার দুঃখী মানুষের কল্যাণে ব্যয়ের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘পৃথিবী থেকে দারিদ্র্যের অভিশাপ মুছে ফেলার কাজ এর ফলে সহজ হবে।’