গত ১৮ মে বৃহস্পতিবার দৈনিক মুন্সীগঞ্জের কাগজের ১ম পাতায় “সিরাজদিখান উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালের পরিত্যক্ত ভবন মাদকসেবীদের আস্তানা” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়, সিরাজদিখান উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের পরিত্যক্ত ভবনে মাদকসেবীদের আস্তানা গড়ে উঠেছে। সাবেক পশু হাসপাতালের পরিত্যক্ত এই দুটি ভবনে ৬টি কক্ষ রয়েছে। এর মধ্যে ৩টি কক্ষে অফিস ছুটির দিনে ও প্রায়ই রাতের কোন কোন সময়ে, হিরোইন, ইয়াবা ও গাঁজাসহ মাদক সেবন করে মাদকসেবীরা।
প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রাতে হাসপাতাল কোয়ার্টারে ২ জন কর্মচারী থাকলেও তারা ভয়ে বের হন না। এমনকি তারা কিছু বলতেও সাহস পান না। তারা আরো জানান, এসব কারণে তাদের অফিসে চুরি হয়েছে বেশ কয়েকবার। গত মাসে দুইবার বৈদ্যুতিক মিটার থেকে অফিস পর্যন্ত মূল লাইনের প্রায় একশত গজ বিদ্যুতের তার (ক্যাবল) চুরি হয়েছে। এ সংবাদটি আমাদের জন্য মোটেও সুখকর নয়। একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান কখনোই মাদকের আস্তানা হতে পারে না। আমরা মনে করি, সিরাজদিখান উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলা ও গাফিলতির কারণেই পরিত্যক্ত ভবনটিতে মাদকের আস্তানা গড়ে উঠেছে। অন্যদিকে পুলিশ প্রশাসনের নিষ্ক্রিয় ভূমিকাও এর জন্য দায়ী। আমরা চাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অনতিবিলম্বে মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সেইসাথে পুলিশের পাশাপাশি যুবসমাজকেও মাদক নির্মূলে কাজ করতে হবে।