নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভায় একের পর এক খাল-ডোবা ও পুকুর ভরাট ও দখলের মহোৎসব চলছে। এই পৌরসভায় হঠাৎ দখল প্রক্রিয়া বেড়ে গেছে। গতকাল শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মিরকাদিম পৌরসভার গোপপাড়া যা গোয়ালপাড়া নামে পরিচিত এলাকাটিতে একটি পরিত্যক্ত পুকুর রয়েছে। পুকুরটির একপাশে ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। অন্যদিকে সড়ক ঘেঁষে আরেকটি অংশ বালু ফেলে দখল করা হচ্ছে। ময়লা আবর্জনা ও বর্জ্যে ভরা সরকারি এই পুকুরটি বালু ফেলে একটি চক্র দখল করার চেষ্টা করছে। সরকারের কোনরকম অনুমতি না নিয়ে পূজা অর্চনার অজুহাতে একটি চক্র পুকুরের একটি অংশ গত দুইদিনে বালু ফেলে ভরাট করে ফেলেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই পুকুরের একটি অংশ গোয়ালপাড়ার পূজা কমিটির লোকজন পূজা-মন্দির করার কথা বলে বালু ফেলে ভরাট করছে। তারা এলাকায় প্রচার চালাচ্ছে ভরাটকৃত জায়গা সরকারের কাছ থেকে লিজ নিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। আবার পুকুরে ময়লা ফেলে ভরাট করা অংশের কিছু জায়গা মৃত হাছাই বেপারীর ছেলেরাও লিজ নিয়েছে বলে এলাকায় প্রচারণা চলছে। তবে, বালু ফেলে পুকুরের একটি অংশ দখলে নেয়ার বিষয়ে স্থানীয়রা বলেছেন, গোয়ালপাড়া পূজা কমিটির কয়েকজন এই পুকুরে বালু ফেলে ভরাট করেছে। এখানে তারা পূজা করবে, মন্দির বানাবে বলে প্রচারণা চলছে। এই বিষয়ে গোয়ালপাড়া পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুমন পাল বলেছেন, কারা কি কারণে পুকুর ভরাট করছে তা তিনি জানেননা। রিকাবীবাজার ভূমি অফিসের তহশিলদার গোলজার হোসেন জানান, তিনি পুকুর ভরাট বিষয়ে অবগত নন। তিনি জানান, সরকারি সম্পত্তি হলে পুকুর ভরাট করার নিয়ম নেই। ব্যক্তিগত হলে ভরাট করতে পারবে। মিরকাদিম পৌর মেয়র হাজী আব্দুস সালাম জানান, সরকারী খাল হলে দখলমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুন্সীগঞ্জ সদর ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার শেখ মেজবাউল সাবেরিন নায়েককে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান। এডিসি রেভিনিউ দীপক কুমার রায় পুকুর ভরাট বিষয়ে বলেন, দেখে ব্যবস্থা নেবো।