নিজস্ব প্রতিবেদক
কিংবদন্তি গীতিকার, সুরকার, চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, গাজী মাজহারুল আনোয়ার বাংলাদেশের একজন ‘কিংবদন্তী’। রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে বিএনপি মহাসচিব এই কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তী, শুধু গীতিকার বললে ভুল বলা হবে। একজন সৃজনশীল শিল্পী, যার কলমে এদেশে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য অসাধারণ গান, কবিতা।
তিনি আরও বলেন, আমি কিছুটা আবেগাপ্লুত। তার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। তিনি চলে গেছেন আমি ঠিক মেনে নিতে পারছি না। আমরা একজন বিরল ব্যক্তিত্ব অসাধারণ মেধাবী মানুষকে হারালাম। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আল্লাহ যেন তাকে বেহেশত নসিব করেন এবং তার পরিবারবর্গ ও তার গুণগ্রাহী মানুষকে যেন শোক সহ্য করার শক্তি দেন।
এই বরেণ্যে গুণী শিল্পীর গান মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে তার গান ছিল আমাদের কাছে সবচেয়ে অনুপ্রেরণা এবং পরবর্তী সময়গুলোতে তিনি হাজার হাজার গান লিখেছেন।
এর আগে রোববার সকাল ৭টায় রাজধানীর বারিধারায় নিজ বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। পরে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। মৃত্যুর সংবাদের পরপরই উত্তরার বাসা থেকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে ছুটে আসেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি মরহুমের ছেলে শরফরাজ মেহেদি উৎপলকে সান্তনা দেন। এসময়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, জাসাসের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রোকন ও বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খানসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুকালে গাজী মাজহারুল আনোয়ার স্ত্রী জোহরা গাজী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। পরিবারের সদস্যরা জানান, তিনি বিকেলে দুবাই হয়ে দেশে ফিরবেন।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক মামুন আহমেদ জানান, গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতির জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে আবেদন করা হয়েছে।