নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের মুন্সীকান্দি গ্রামে হামলা ও হুমকির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার মধ্যেও গত রবিবার সন্ধ্যার দিকে একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়েছে একটি পক্ষ। এমনই অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে গ্রামে ঘুরে ঘুরে। এর শব্দ অনেকেই শুনেছে বলে একাধিক সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় সন্ত্রাসীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গত সোমবার সেই আলামত আবার পানি দিয়ে ধুয়ে মুছে ফেলেছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে। এসব ঘটনায় এখানকার মানুষ বর্তমানে ভয় ও ভীতির মধ্যে এখানে বসবাস করছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। গ্রামবাসীকে ভয়ের মধ্যে রাখার জন্য এখানে মাঝেমধ্যে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করা হয় বলে শোনা যাচ্ছে। এখানে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা গ্রামবাসীদের মাঝে ভয়কে প্রবল করার লক্ষ্যে অস্ত্রের মহড়া দেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে এখানে সন্ত্রাসীদের আনাগোনায় এ গ্রামটিতে অশান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বছরের পর বছর এখানে উদ্ভুত পরিস্থিতি বিরাজমান থাকায় কিশোর ও কিশোরীরা কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার পথে বাঁধার মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া এ গ্রামে অনেকেই প্রবেশ ও বাহিরের মুখেও নির্দিষ্ট বাড়ির লোকজনরা অনুরূপ বাধার মুখে পড়ছেন বলে শোনা যাচ্ছে। এসব কারণে অনেকেই আবার বর্তমানে বাজার হাটে যাওয়াও ছেড়ে দিয়েছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সাত গ্রামের মাদবররাও এ গ্রামের এ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে উঠান বৈঠকে বসেন। কিন্তু শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্ন করার লক্ষ্যে সেই বৈঠকেও স্থানীয় সন্ত্রাসীরা বাধা প্রদান করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাতে সেই বৈঠক বরাবরের মতো পন্ড হয়ে যায় বলে শোনা যাচ্ছে। এদিকে পূর্বের রেষারেষির কারণে এখানে অনেকই তাদের পৈত্রিক বাড়িতে বাড়ি ঘর উঠাতে গিয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হুমকির মুখে পড়ছেন বলে জানা গেছে। বাড়িতে ঘর উঠাতে গিয়ে স্থানীয় বাধার মুখে সন্ত্রাসীরা ঘর বাড়ি ভাংচুর করেছে। অনেকের ঘরবাড়িতে সন্ত্রাসীরা বাড়িঘরে চাপাতি দিয়ে ঘরে আঘাত করেছে সেই ছবিও পাওয়া গেছে। এসব বাধা দিতে গিয়ে ইতোমধ্যে অনেক নারী হামলার শিকার হয়েছেন। সবকিছু মিলিয়ে এখানে অশান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এখানকার মানুষ শান্তি চায়। তারা এ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপও চায়। এ গ্রামে বিভিন্ন পয়েন্টে প্রতিদিনই মাদকের আখড়া বসে। সেখানে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ব্যক্তিদের মাঝে অবাধে মাদক বিক্রি হয় বলে খবর পাওয়া গেছে। ভিন গ্রামের প্রভাব বিস্তারকারী সন্ত্রাসীরাও এখানে স্থানীয়দের সাথে জোট বেধে এখানে মাদক বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে এখানকার মানুষ সোচ্চার হলেই এদের ওপর হামলা চালায় মাদক ব্যবসায়ীরা। ভৌগলিকভাবে এখানটা অনেকটাই নিরিবিলি। তাছাড়া রাস্তাঘাট তেমনটা ভালো না। যাকে বলা হয় সুদূর গ্রাম আর গ্রাম। এ কারণে এখানে নিরাপদ ভেবে মাদক ব্যবসায়ীরা এ স্থান থেকেই মাদক বিক্রি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তাই তারা এ গ্রামটিকে বর্তমানে বেছে নিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দেয়ার লক্ষ্যে এখানকার মাদক ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ধরণের অস্ত্র সাথে রাখে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এখানকার ওয়ার্ড মেম্বার স্বপন গত রবিবার জামিন পান। সেই উল্লাসে এখানে রাতের প্রথম প্রহরে তার সমর্থকরা একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। স্বপন মেম্বার বাংলাবাজারের প্রত্যন্ত চরে পপি চাষের মামলায় এ দিন সে জামিন পান বলে শোনা যাচ্ছে। পরের দিন সোমবার আরেকটি মামলার হাজিরা থাকায় সে সেদিন জেলা থেকে ছাড়া পায়নি বলে শোনা যায়। মোল্লাকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মহসিনা হক কল্পনা জানান, ঐদিন ঐ গ্রামে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
মুন্সীকান্দি গ্রামে হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণ
আগের পোস্ট