নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের পশ্চিম মুক্তারপুরে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সন্ত্রাসীদের হামলায় শ্রমিকসহ ৭ জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে হাজী মোঃ মোফাজ্জল হোসেন (৬০) ও ফাহিম (১৮) এর অবস্থা মারাত্মক। অপর আহতরা হলেন- শ্রমিক জাহাঙ্গীর মিস্ত্রি (৫৫), আব্দুল জলিল (৫০), কালু মিস্ত্রি (৬০), মোঃ ফয়সাল মিস্ত্রি (৪৫), মোঃ সোহেব (৩০)। আহতদের মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর ২টার দিকে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম মুক্তারপুর এলাকার চর সন্তোষপুর এলাকায় এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, পশ্চিম মুক্তারপুরের সন্তোষপুর এলাকায় মোঃ তোফাজ্জল হোসেন তাদের পৈতৃক সম্পত্তিতে বাড়ি-ঘর নির্মাণের কাজ করছিলেন শ্রমিকদের নিয়ে। এদিন দুপুরের দিকে স্থানীয় পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রহিম মেম্বার, তার ছেলে রবিনসহ ১০/১৫ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী সশস্ত্র অবস্থায় বাড়ি-ঘর নির্মাণ কাজে বাধা প্রদান করে। ওই সময় সন্ত্রাসীদের বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা ঘর নির্মাণ কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের মারধর করে আহত করে। এ খবর পেয়ে তোফাজ্জল হোসেনের বড় ভাই হাজী মোঃ মোফাজ্জল হোসেন ও ভাতিজা ফাহিম এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা লোহার রড, শাবল ও এসএস পাইপ ও হাতুড়ি দিয়ে চাচা-ভাতিজাকে বেধড়ক পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। আহতদের মারাত্মক জখম অবস্থায় এলাকার লোকজন মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে মোঃ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, পশ্চিম মুক্তারপুরের সন্তোষপুর এলাকায় আমাদের পৈতৃক জায়গায় বাড়ি-ঘরের নির্মাণ কাজ করছিলাম। দুপুরের দিকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে স্থানীয় ইউপি সদস্য রহিম মেম্বার তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমাদের কাজ বন্ধ করে দেয়। তাতে বাঁধা দিলে রহিম মেম্বার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের রড, শাবল ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।
পশ্চিম মুক্তারপুরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ তারিকুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।