নিজস্ব প্রতিবেদক
শীত মৌসুমের শুরুতেই মুন্সীগঞ্জ পৌর এলাকায় হঠাৎ বেড়েছে মশার উপদ্রব। বাসাবাড়ি, অফিস-আদালতসহ সর্বত্রই মশার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মশা বেড়ে যাওয়ায় শহরবাসীকে তাড়া করছে গত ডেঙ্গু মৌসুমের ভয়। মশকনিধনে এখনই কার্যকর ওষুধ ছিটানোর কর্মসূচি হাতে না নিলে ভয়াবহতা ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে মুন্সীগঞ্জ পৌর এলাকায় যে পরিমাণ মশার ক্ষেত্র শুধু ওষুধ ছিটিয়েই তা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা সম্ভব নয় বলে ভাষ্য সংশ্লিষ্ট মুন্সীগঞ্জ পৌর কর্মকর্তার। গত মৌসুমে (আগস্ট-নভেম্বর) এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত হয়ে অনেক মানুষ চিকিৎসা নেন। ওইসময় মশার ওষুধ ছিটানোর কার্যক্রমে ব্যাপকভাবে তৎপর হয় মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা। সমালোচনা হয় মশার ওষুধের কার্যকারিতা নিয়েও। এই সমালোচনা বর্তমানে অব্যাহত রয়েছে। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, বছরের শুরুতেই মশক নিধন কার্যক্রম চললেও মাঝখানে ধীরগতি দেখা দেয়। এখন আবার জোরেসোরে চলছে ওষুধ না ছিটানোর কার্যক্রম। চলতি মার্চে মশার উপদ্রবও বেড়েছিলো। মেয়রসহ কাউন্সিলরদের অন্যতম প্রধান প্রতিশ্রুতি ছিল মশামুক্ত মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা উপহার দেয়া। তা বাস্তবায়নে নানা পদক্ষেপ নিলেও পৌর এলাকার কোথাও সফল আবার কোথাও ব্যর্থতা রয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, মৌসুম পরিবর্তনের সঙ্গে সড়ক, খাল, জলাধার থেকে শুরু করে বাসাবাড়িতে মশার যন্ত্রণায় বিরক্ত নাগরিকরা। সমস্যা সমাধানে একাধিক আশ্বাস ও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা। কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষের সেবার ফল আশানুরূপ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ পৌরবাসীর। অপরদিকে মুন্সীগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, সকলের সম্পৃক্ততা ছাড়া কেবল পৌর কর্তৃপক্ষের মশক নিধন কঠিন। পৌর ষ্টাফ আবুল কালাম জানান, মশক নিধনে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।