নিজস্ব প্রতিবেদক
১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে এ দেশের দামাল ছেলেরা দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ শেষে ছিনিয়ে আনে তাদের মাতৃভূমির স্বাধীনতা। সেই বাংলার মাটিতে কোন বীর মুক্তিযোদ্ধা যেন অস্বচ্ছলভাবে জীবনযাপন না করেন সেজন্য জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। ইতোমধ্যেই সব মুক্তিযোদ্ধার ভাতাও বাড়িয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে সারা দেশের ন্যায় মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে প্রথম ধাপে ঘর পেলেন ১১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা। গৃহায়ণের কাজ চলমান রয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসনের সূত্রে প্রকাশ করা হয়েছে।
জানা যায়, মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষে অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে আবাসনের ব্যবস্থা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তাদের নিজস্ব জমি থাকতে হবে। এই বাড়ির নাম হবে বীর নিবাস। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবরের মধ্যে এই বাড়ি নির্মাণ করা শেষ হবে। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে একটি বাড়ি নির্মাণ ব্যয় হবে ১৪ লাখ ১০ হাজার ৩৪২ টাকা।
আরো তথ্য জানা যায় যে, মুক্তিযোদ্ধাদের বিধবা স্ত্রী ও সন্তানদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সারাদেশের উপজেলা ও মহানগর পর্যায়ে ৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির মাধ্যমে অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বাছাই করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যা হলেন উপজেলা সমাজসেবা অফিস, প্রকৌশলী ও স্থানীয় দু’জন মুক্তিযোদ্ধা।
লৌহজংয়ে প্রথম ধাপে ১১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ঘর পেলেন। তারা হলেন- বৌলতলী ইউনিয়নের দক্ষিণ চারিগাঁওয়ের মোকলেচুর রহমান মৃধা, মেদেনীমন্ডলের মো. হায়দার আলী, বড় নওপাড়া গ্রামের আব্দুল কাদের, বেজগাঁওয়ের মো. গিয়াসউদ্দিন কুদ্দুস ও মো. দিদার হোসেন, কাজিরগাঁওয়ের আশিক মোহাম্মদ, কুমারভোগের মো. জলিল শেখ, ধীৎপুরের মো. ইব্রাহিম মৃধা, দক্ষিণ হলদিয়ার মো. মজিদ খাঁ, কনকসারের মো. সোহরাব হোসেন ঢালী, গাঁওদিয়ার এস.এম শাহজাহান।
লৌহজং প্রকল্প উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. জয়েন আলী জানান, মুক্তিযোদ্ধাদের ঘর নির্মাণ কাজ সিডিউল মোতাবেক হচ্ছে। এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ এখনও আমরা পাইনি। আমরা নিয়মিত নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করছি।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল আউয়াল জানান, সরকারের এই পদক্ষেপ সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। দীর্ঘদিন পর হলেও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই হবে। তিনি আরো জানান, ঘর নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে প্রথম ধাপের শতকরা ৭০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের কাজও শুরু করা হয়েছে।