নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার ঘোড়দৌড় বাজার সংলগ্ন উত্তর দিঘলী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদানের শ্রেণিকক্ষ ধুলাবালিতে ভরা। উপজেলা শিক্ষা অফিসার বলেছেন বিষয়টি দেখবেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ভবন দ্বিতীয় তলা বিশিষ্ট স্কুলটি মেঝে ও প্রতিটি শ্রেণির ভিতরে ধুলাবালি ভরা। ১৯৪০ সালে স্থাপিত এ বিদ্যালয়ে বর্তমান ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ৬৫৪ জন। একজন প্রধান শিক্ষক ও ১১ জন সহকারী শিক্ষক নিয়ে বিদ্যালয়টি চলছে। ২০২২ সালে এ বিদ্যালয় থেকে ৮ জন বৃত্তিপ্রাপ্ত হয়েছে। তবে বিদ্যালয়টির বর্তমান অবস্থা করুণ বলা যায়। শ্রেণিকক্ষ ও মেঝের ধুলাবালি কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের নাক, মুখ দিয়ে ফুসফুসে ঢুকছে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতে, ধুলাবালিজনিত রোগ হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও অ্যালার্জি। শ্বাসকষ্টজনিত রোগ ভয়াবহ বেশি। গণমাধ্যমকর্মীর উপস্থিতি দেখে একাধিক অভিভাবক নানা অভিযোগ করেন। গত এক বছর আগেও বিদ্যালয়ের পরিবেশ খুব সুন্দর ছিল।
অভিভাবক হাজী মোঃ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমার নাতি এই স্কুলে পড়াশোনা করে। তাকে দিয়ে ধুলাবালি পরিষ্কার করায় বলে সে আমাকে বাড়িতে গিয়ে জানিয়েছে। ছোট কোমলমতি শিশুদের দিয়ে পরিচ্ছন্নতার কাজ করালে শিশুদের শরীরের ক্ষতি হয় তা কি শিক্ষকরা জানে না।
এছাড়া আরো অনেক অভিভাবকদের নানান অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি শেখ মোঃ আসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এক বছর আগে থেকে আমার এই স্কুলে কোন দপ্তরি নেই। অপরিচ্ছন্ন কথাটি তিনি স্বীকার করেন। তবে তিনি বলেন, টেম্পোরারি একজন পরিচ্ছন্ন কর্মী রাখা হয়েছে।
এ প্রতিবেদক তার কাছে জানতে চায় তবে ধুলাবালি ভরা কেন? এ বিষয়ে তিনি কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেননি।
উত্তর দিঘলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল কাদির মৃধা বিদ্যালয়টি ধুলাবালিতে ভরা অপরিচ্ছন্ন তা তিনি স্বীকার করেন। পরে তিনি বলেন, আমার স্কুলটিতে গত এক বছর যাবত দপ্তরী কাজে নিয়োজিত কোন লোক নেই। পরিচ্ছন্ন কাজ দপ্তরি করে। আমি কর্তৃপক্ষের কাছে একজন দপ্তরি চেয়ে চিঠি দিয়েছি, কিন্তু পাইনি। আমি অসহায়, আমার কিছু করার নেই। তবে ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে মাঝেমধ্যে পরিষ্কার করেন এ কথাও তিনি স্বীকার করেন।
লৌহজংয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ধুলাবালিতে ভরা, কর্তৃপক্ষের খোঁড়া যুক্তি
আগের পোস্ট