নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে গভীর রাতে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুন দেখে ফেলায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে পুরো পরিবার। গত রবিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কামারগাঁও নয়াবাড়ী এলাকায় মৃত পরিমল বৌদ্ধের ছেলে প্রবীর চন্দ্র বৌদ্ধের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। আগুন দেখে দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলতে সক্ষম হয় তারা। ঘরের টিন ও কাঠ পুড়ে যায়। এতে প্রায় ২০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে পরিবারটির দাবী। এ ব্যাপারে প্রবীর চন্দ্র বৌদ্ধ বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
স্থানীয় ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সূত্রে জানা যায়, ঐ পরিবারের সবাই রাতের খাবার শেষে বসতবাড়ির উত্তর ভিটির ভিটি পাকা দোতলা টিনের ঘরে ঘুমিয়ে যায়। গভীর রাতে ৩টার দিকে ঐ বাড়ির জামাতা সঞ্জয় মন্ডল জল পিপাসায় ঘুম ভেঙে গেলে জল পান শেষে দেখেন ঐ ঘরের পিছন দিক থেকে কে বা কারা আগুন দিয়েছে। তা দেখে দ্রুত আগুন নিভাতে সক্ষম হয়।
জামাতা সঞ্জয় মন্ডল বলেন, আমার স্ত্রী-সন্তানরা শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার সুবাদে আমি স্ত্রী-সন্তানকে আনতে রবিবার বিকেলে শ্রীনগর থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে যাই এবং রাতের খাবার শেষে বসতবাড়ির উত্তর পাশের ভিটি পাকা দোতলা টিনের ঘরের নিচতলায় পূর্বকক্ষে স্ত্রীসহ আমি, পশ্চিম কক্ষে শাশুড়ি পারুল বৌদ্ধ, দোতলার পূর্বকক্ষে আমার সমন্ধি, তার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত ৩টার দিকে হঠাৎ জল পিপাসায় আমার ঘুম ভেঙে গেলে আমি জেগে যাই এবং জল পান শেষে দেখি ঐ ঘরের উত্তর-পশ্চিম কোণে শাশুড়ি পারুল বৌদ্ধের কক্ষের পিছনের দিকে আগুন জ্বলছে। তখন আমি ডাকচিৎকার দেই এবং পরে জানালা দিয়ে পানি ঢেলে আগুন নিভানোর চেষ্টা করি। আগুন না নেভায় ঘরের পিছনে গিয়ে পানি ঢেলে আগুন নিভাই। এসময় আগুনে আমার মুখ সামান্য ঝলসে যায়। আগুনে ঘরের টিন ও কাঠ পুড়ে প্রায় ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। আর কিছুক্ষণ পর আগুন দেখতে পেলে পুরো পরিবার আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যেত।
শ্রীনগর থানার ওসি (তদন্ত) ওয়াহিদ পারভেজ বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।