নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রীনগরে চাইনিজ এবং ফাস্টফুড দোকানের আড়ালে চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ। আলো-আঁধারের মাঝে ছোট ছোট কেবিন তৈরি করে পুরো শ্রীনগর ও শ্রীনগর কলেজ এর আশপাশেসহ পুরো শ্রীনগরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য মিনি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ও ফাস্টফুডের দোকান। ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠা এসব রেস্টুরেন্টের প্রধান আয় আগতদের কাছে থেকে পাওয়া ‘ওয়েটিং বিল’। স্কুল-কলেজ-ভার্সিটি পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস চলাকালীন ‘ওয়েটিংয়ের’ নামে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে। শ্রীনগরের আশেপাশে গজিয়ে ওঠা এসব মিনি চাইনিজ ও ফাস্টফুডের দোকান নিয়ে অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন। স্থানীয় প্রভাবশালী ও পুলিশকে ম্যানেজ করে চলে বলে এসবের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খোলার সাহস করেন না কেউ। অনুসন্ধানে জানা গেছে, শ্রীনগরের ও কলেজ গেটের অলি-গলিতে ব্যাঙের ছাতার মতো গর্জে উঠেছে মিনি চাইনিজ ও ফাস্টফুডের দোকান। বাহ্যিক দৃষ্টিতে অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন এসব রেস্টুরেন্টের ভিতরে কী আছে তার খবর কেউ রাখে না। বেশিরভাগ দোকানের ভিতরে ছোট ছোট কেবিন তৈরি করা। সেগুলোতে আবার পৃথক কপাট (দরজা) আছে। ভিতর থেকে সে কপাট আটকানো যায়। অধিকাংশ রেস্টুরেন্টের পর্দার ব্যবস্থা করা যা যেকোনো মুহূর্তে গুটিয়ে রাখা যায়। নাম না বলা এক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে জানা গেলো, এখানে খাওয়ার চেয়ে ‘ওয়েটিং’ বিলটাই মুখ্য। কেবিনগুলোতে আওয়ারে ২০০-৫০০ টাকা ঘন্টা ধরে বিল হয়। ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে সামনে রেখে এইসব রেষ্টুরেন্টগুলো প্রাইভেট জায়গার ব্যবস্থা আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে জানা যায়। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণব কুমার ঘোষ এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, অতি দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।