নিজস্ব প্রতিবেদক : মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার রাঢ়ীখাল ইউনিয়নের বালাশুরে প্রবাসীর লীজকৃত সম্পত্তিতে বালি ভরাট করে বিক্রির পায়তারার অভিযোগ উঠেছে।
গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার রাঢ়ীখাল মৌজার সরকারি লীজকৃত সম্পত্তিতে বালি ভরাট করে বিক্রির পায়তারার অভিযোগ উঠে বালাশুর গ্রামের মৃত ইসলাম কাড়ালের ছেলে সোনালী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা ইউনুছ কাড়াল, মাসুদ কাড়াল ও আমিন ঢালী গংয়ের বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার রাঢ়ীখাল ইউনিয়নের বালাশুর এতিমখানা সংলগ্ন পশ্চিম পাশে রাঢ়ীখাল মৌজার সাবেক ৯৩, ৯৪ হালে ১০৮৯ দাগের ৫০ শতাংশ নাল জমি সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ড্রাম দিয়ে বালি ভরাট করে শ্রেণি পরিবর্তন করছেন ইউনুস কাড়াল গং।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই সম্পত্তির ২৫ শতাংশ জমি প্রবাসী মনিরুজ্জামান হিমেল তার নিজ নামে লীজ নিয়ে ২০১৬ সাল পর্যন্ত খাজনা পরিশোধ করেছেন। পরবর্তীতে তার ২৫ শতাংশ লীজকৃত সম্পত্তিসহ ৫০ শতাংশ সরকারি সম্পত্তিতে রাতের আঁধারে বালি ভরাট করছেন ইউনুস কাড়াল গং।
স্থানীয়রা আরো জানান, ইউনুস কাড়াল গং ঐ সম্পত্তি বালি ভরাট শেষে জাহাঙ্গীর চৌকিদার, জসিম শিকদার, করিম ঢালী ও ইয়াছিনদের কাছে মৌখিকভাবে বিক্রি করেছেন।
সরকারি সম্পত্তিতে বসবাসকারী প্রবাসী জাহাঙ্গীর চৌকিদারের স্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা চার শরিক এই সম্পত্তি ইউনুস কাড়ালের কাছ থেকে ক্রয় করেছি।
প্রবাসীর লীজকৃত সম্পত্তি বালি ভরাট করে বিক্রির বিষয়ে ইউনুছ কাড়ালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৫০ শতাংশ সম্পত্তি আমার মা জহুরা বেগমের নামে লীজ ছিল। পরবর্তীতে আমার মা মারা যাওয়ার পর আমি এই সম্পত্তি নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে মালিক হই। সরকারি সম্পত্তি বিনা অনুমতিতে ভরাট করতে পারেন কি না -এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
শ্রীনগর সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম রাব্বানী সোহেল বলেন, এই ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।