নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, একটি উন্নত-সমৃদ্ধ ও কল্যাণকর জাতি রাষ্ট্র বিনির্মাণে বাঙালি জাতির হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ধারণ করে সামাজিক-মানবিক ও সম্প্রীতির বন্ধনকে সুসংহত করতে হবে।
গতকাল বুধবার মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের শেখ আমানুল্লাহ সমাজকল্যাণ সংসদ ও পাঠাগার আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী, এনআরভি ব্যান্ড-এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। সংগঠনের সভাপতি শেখ মনিরুজ্জামান রিপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষকলীগের সভাপতি মহাসীন মাখন, নারায়ণগঞ্জ শহর যুব লীগের সভাপতি আলিম হোসেন উজ্জ্বল, কাউন্সিলর রহিম বাদশা, দ্বীন ইসলাম, সোহেল, ইদ্রিস আলী টুলু, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য আরিফুর রহমান, কৃষকলীগ নেতা পিয়ার হোসেন প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, মানুষের প্রাণশক্তিই হচ্ছে সংস্কৃতি। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রচ্ছদপটেই পরিস্ফুটিত হয় একটি জাতির আত্মপরিচয়। একটি সমাজের সার্বিক পরিচিতি, আচার-আচরণ, তাদের আবহমান ঐতিহ্য, অভ্যাস, রীতি-নীতি ইত্যাদির সমন্বয়ে সংস্কৃতি গড়ে ওঠে। যে জাতি যত বেশি নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে সে জাতি তত বেশি এগিয়ে যায়। সংস্কৃতি একটি জাতির ভাগ্যোন্নয়ন তথা একটি জাতি রাষ্ট্রের উন্নয়নের অন্যতম প্রধান চাবিকাঠি।
তিনি বলেন, খেলাধুলা ও সাংস্কৃৃতিক চর্চা একদিকে যেমন চিত্ত-মনের পরিশুদ্ধি অর্জনে ভূমিকা পালন করে অন্যদিকে অপরাধ প্রবণতা হ্রাস করে। সুস্বাস্থ্য ও সতেজ মন সুখী জীবনের দক্ষিণ দুয়ার। সুস্বাস্থ্য ও প্রফুল্ল মনের অধিকারী হতে হলে অবশ্যই ক্রীড়া ও শরীর চর্চার অভ্যাস করতে হবে। খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চা তরুণ প্রজন্মকে মাদক, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে রাখে। খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চা মানসিক বিকাশ ঘটায়, ভ্রাতৃত্ববোধের সৃষ্টি করে এবং মানবিক আচার-আচরণের অনুশীলন ঘটায়।