নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে একটি পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এমনকি জায়গা সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তাদের ৪ পরিবারকে বাড়িছাড়া করা হয়েছে।
থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের চন্দনধুল গ্রামের মৃত সৈয়দ আহম্মদের ছেলে সৈয়দ জানে আলম ইছাপুরা ইউনিয়নের চন্দনধুল মৌজার ৭০ শতাংশ জায়গা ভোগ দখল করে আসছিলো। ২০৩৪/২০১০ মামলার হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী এই সম্পত্তিতে স্থায়ী স্ট্রে অর্ডার প্রদান করা হয়। ভোগ দখলে থাকা অবস্থায় একই গ্রামের মৃত খালেক ঢালির ছেলে এরশাদ ঢালী(৪০), মৃত ইউনুস ঢালীর ছেলে মোঃ মামুন ঢালী (৪৫), মোহাম্মদ তাজেল ঢালীর ছেলে সাইফুল ঢালী (২৬), মৃত বাবুল ঢালীর ছেলে কামাল মোল্লা (৩৫), মৃত ইউছুফ ঢালীর ছেলে মজিবর ঢালী (৫৫), মৃত জমির ঢালির ছেলে কাউসার (৪৫), মৃত বাবুল ঢালীর ছেলে রমিজ (২৭) দখল করার পায়তারা করে আসছিলো। যার পরিপ্রেক্ষিতে সৈয়দ জানে আলমের চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় গত ২০২২ সালের ২৫ নভেম্বর একটি নন এফআইআর মামলা অভিযোগ করেন। সেটি বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করলে আদালত তাদের সমন জারি করেন। সেই সমন জারির জের ধরে গত ২০২২ সালের ২৪শে নভেম্বর আনুমানিক দুপুর ৩টার দিকে বিবাদীরা সৈয়দ জানে আলমের বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে সৈয়দ জানে আলমের ভাতিজা জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে ভাংচুর করে ও সেখানে থাকা সৈয়দ জানে আলমের ভাগ্নীকে মারধর করে। ভাগ্নির ডাক চিৎকারে সৈয়দ জানে আলমের বোন ফনি বেগম সেখানে গেলে তাকে এবং ফনি বেগমের ছেলে নাঈম মিয়া সেখানে গেলে তাকেসহ মারধর করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সৈয়দ জানে আলমদের ১২৩ বছর পুরোনো একটি দরগাহ রয়েছে। সেই শতবর্ষী দরগায়ও হামলা চালানো হয়েছে। সেখানে প্রতিবছর তাদের ওরশ অনুষ্ঠিত হতো। কিন্তু এই বিরোধের জেরে তারা এখন বাড়ী ছাড়া হওয়ার কারণে সেটিও বন্ধ আছে।
ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাদের সাথে বিবাদীদের আগে থেকেই জমিসংক্রান্ত বিরোধ ছিলো। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ায় তারা আমাদের উপর হামলা করেছে।
বিবাদী মামুন বলেন, তাদের এখানে কোন জায়গা-জমি নেই। তাদের কেউ হামলা করেনাই। সেখানে যত জায়গা আছে তা মসজিদের নামে। গ্রামবাসী মসজিদের নামে জায়গা দিয়েছে। জাহাঙ্গীরের বাবা এই মসজিদের ইমাম ছিলো তখন তাদের থাকতে দেয়া হয়েছিলো। তাদের বলা হয়েছে তাদের যদি কাগজপত্র থাকে তাহলে নিয়ে আসতে।