নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের ৪৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি সিরাজদিখান উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের ৪৫ সদস্য বিশিষ্ট অনুমোদন দিয়েছে জেলা কমিটি। এই নতুন কমিটিতে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সভাপতি এবং মোঃ আনোয়ার হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে জাতীয় শ্রমিকলীগের সিরাজদিখান উপজেলা শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ জানুয়ারী রবিবার বেলা ১১টায় কমিটির অনুমোদন দিলেও মুন্সীগঞ্জ জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সাত্তার ঢালী, যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আনোয়ার হোসেন ও সদস্য সচিব শেখ আরফান হোসেন গত বুধবার রাতে স্বাক্ষরিত চূড়ান্ত কমিটির অনুমোদন পত্রের এক প্যাডে উপজেলা শাখার শ্রমিক লীগের ৪৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ এ কমিটি ঘোষণা দেন।
এদিকে এই নতুন কমিটির ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক মো. আক্কাস আলী বলেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারী ৪৫ সদস্য বিশিষ্ট সিরাজদিখান উপজেলা শ্রমিক লীগের কমিটি গঠন করা হয়। সে কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয় মো. হামিদুল ইসলাম রতন ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয় মো. ছাইদুল ইসলাম সুমন। এই নতুন কমিটির অনুমোদন দেন শ্রমিক লীগের জেলার আহ্বায়ক মো. আক্কাস আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আনোয়ার হোসেন, মো. আবুল কালাম আজাদ ও মতিন মোল্লা। পাল্টাপাল্টি দুই কমিটি হওয়ায় শ্রমিকলীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
আক্কাস পন্থী সাধারণ সম্পাদক মো. ছাইদুল ইসলাম সুমন জানান, এখানে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। একটিতে আমি সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত। অপর কমিটিতে কোন কিছু না জানিয়ে নতুন কমিটিতে আব্দুল্লাহ আল মামুন এর নির্দেশে আমাকে সহ-সভাপতি হিসাবে আমাকে রাখা হয়েছে। ঐ কমিটি পরিচালনা করার জন্য অনুমোদন দেন ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুস সাত্তার ঢালী, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আনোয়ার হোসেন, সদস্য সচিব শেখ আরফান হোসেন।
মুন্সীগঞ্জ জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সদস্য সচিব শেখ আরফান হোসেন জানান, সিরাজদিখান উপজেলায় দুটি কমিটি রয়েছে। সব শেষে যে কমিটি ঘোষণা করা হয় তা নিয়ম মেনেই করা হয়েছে। যদি এই কমিটিতে কেউ থাকতে না চায় তাহলে পদত্যাগপত্র জমা দিলে তাকে বাদ দেওয়া হবে। আমাদের শ্রমিক লীগের জেলার আহ্বায়ক আক্কাস আলীর প্রতি সম্মান জানিয়ে বলছি, এই কমিটির ব্যাপারে কোন আপত্তি থাকলে তাও বলুক। সিরাজদিখান উপজেলার দু’জনের ব্যাপারে আমার আপত্তি রয়েছে তারা হলেন মো. হামিদুল ইসলাম রতন ও মো. ছাইদুল ইসলাম সুমন। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে অনেক অভিযোগ। তারাই পাল্টা কমিটি গঠন করেছে। জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক মুন্সীগঞ্জ জেলার প্রতিটি উপজেলা ও থানা এলাকায় দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে এই নতুন কমিটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিটি গঠনে যদি কোন রকম অনিয়ম হয় তাহলে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে আমি মেনে নেব।
মো. ছাইদুল ইসলাম সুমন বলেন, জেলার সদস্য সচিব গঠনতন্ত্র না মেনেই পাল্টা কমিটি দিয়ে সিরাজদিখান উপজেলা শ্রমিকলীগের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করেছে। শেখ আরফানপন্থী কমিটিতে কার্যকরী সভাপতি হিসাবে রয়েছেন আঃ রহিম খান, সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম চঞ্চল, সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মেদ জিহাদ জিতু, সহ-শ্রমিক কল্যাণ সম্পাদক নূর হোসেনসহ ৪৫ জন।