নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কলমা ইউনিয়নে খাল দখল করে বাড়িঘর নির্মাণ করতে দেখা গেছে। উপজেলার মারইল (পশ্চিম নওপাড়া) গ্রামের আব্দুল রহমান (৫০) এর বিরুদ্ধে এ খাল দখলের অভিযোগ উঠেছে। খালটির উৎপত্তিস্থল লৌহজং উপজেলার পদ্মার শাখা ডহরি-তালতলা খাল থেকে। সরকারের পক্ষ থেকে খাল, রাস্তা ও জলাশয় রক্ষার জন্য কঠোর নির্দেশনা থাকলেও সেটির তোয়াক্কা করছেন না দখলকারীরা। সরকারি এই খালটি ৬০ ফুট পর্যন্ত প্রশস্ত। কিন্তু এমনভাবে ভরাট করে দখল করা হয়েছে যে খালের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া কঠিন।
গত মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে, ডহরি-তালতলা খাল থেকে মারইল ও ডহরি নওপাড়া গ্রামের কদম পাগলের বাড়ির পাশ দিয়ে মফু মাতবরের বাড়ি ঘেঁষে কলমা খালের সাথে মিলিত হয়েছে। আগে এ খাল থেকে ২টি বিলের কৃষিকাজের পানি ব্যবহার করতেন চাষিরা। ব্রিটিশ আমল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বড় বড় নৌকা ও জাহাজ দিয়ে কৃষকরা ওই খাল দিয়ে পাটসহ বিভিন্ন ফসল হাট-বাজারে আনা-নেওয়া করতেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সচেতন এক গ্রামবাসী বলেন, স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যক্তি প্রবাহমান খালটি ভরাট করে বিভিন্ন স্থাপনা বাড়িঘর ও দোকান নির্মাণ করে দখল করে ফেলেছে।
এই খাল দখল করে একটি বসতঘর নির্মাণ করছেন ওই গ্রামের মৃত খালেকের ছেলে আব্দুল রহমান। খালের উপর দোকানঘর ও বসতঘর নির্মাণ করছেন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এতে সমস্যা কিসের? সরকারের যখন দরকার হবে নিয়ে যাবে। আমার বাড়ির সাথে খালের জমি এজন্য তুলছি। অন্যেরা যে দখল করেছে ওইগুলো দেখেন না।
কলমা ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. হানিফ চাকলাদার বলেন, খালটি রহমানের দখলে কিছুটা আছে। শুধু রহমান না, এই খাল অনেকেই দখল করে রেখেছে। মাপের ব্যবস্থা করলে বেরিয়ে আসতো কে কতটুকু দখল করে রেখেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, ওই খাল দখলকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।