পদ্মার পাড়ে ড্রেজার চালানোয় বিকট শব্দে মসজিদে নামাজের সময় মুসল্লিদের ব্যাঘাত
নিজস্ব প্রতিবেদক
কোনভাবেই থামানো যাচ্ছে না লৌহজংয়ে কৃষিজমি ভরাট ও কাটার বাণিজ্য। এক্ষেত্রে প্রশাসন নিরব, নেই কোন রকম প্রতিকার। উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়নের মাইজগাঁও গ্রামের নূরে আলম সারেং রাজু, বৌলতলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশিদ চৌধুরী অসীম, যুবদল নেতা মুক্তার খান কৃষিজমি কাটা ও ভরাটের মূল হোতা। এছাড়া একই ইউনিয়নের জাঙ্গলীয়া নওপাড়া এলাকায় কোন রকম অনুমতি ছাড়াই দুই ভাই আলমগীর শেখ ও সবুজ শেখ কৃষিজমি ভরাট করে আবাসন প্রকল্প তৈরী করছে। এসব ভরাটের চুক্তি নিয়েছে এই এলাকার আওয়ামী লীগের নেতা সাইফুর রশীদ ও মুক্তার খান। এদিকে ঘোড়াদৌড় বাজার সাবেক থানার মসজিদ সংলগ্ন পদ্মা নদীতে দুটি ড্রেজার বসিয়ে রাত-দিন বাল্কহেড থেকে বালু আনলোড করছে উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম মাদবর। থানার মসজিদটি নদীর সামনে থাকায় ড্রেজারের শব্দে মুসল্লিদের নামাজে ব্যাঘাত ঘটছে বলে জানান এলাকাবাসী ও মসজিদে আসা একাধিক মুসল্লি। তারাবিহ নামাজ পড়ার সময় বিকট শব্দে মুসল্লিদের নামাজের চরম ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানায় মুসল্লিরা।
জানা যায়, তারা প্রভাবশালী বলে কেউ মুখ খুলছে না। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বারবার প্রশাসনের কাছে ধরনা দেয়ার পরও থানা ও উপজেলা প্রশাসন এই বিষয়ে কেউ কিছু বলছে না। এতসব প্রতিবাদের পরও এসব ফসলি জমি কাটা ও ভরাট থামছে না। জনমতের প্রশ্ন, যারা এসব বালু দস্যু তাদের খুঁটির জোর কোথায়? এতসব প্রতিবাদেও নড়েচড়ে বসছে না প্রশাসন। আগে দিনে শুধু কাটা হতো। এখন বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ করায় রাত-দিন ২৪ ঘন্টা চলছে এসব কৃষিজমিতে বালু কাটা ও ভরাট উৎসব।
মুসল্লিরা আক্ষেপ করে বলেন, মাহে রমজান মাসে মানুষ এবাদত করবে মসজিদে বসে। কিন্তু নদীর কূল ঘেঁষে বসানো এই দুটি ড্রেজারের বিকট শব্দে এবাদত করারও কোন উপায় নেই। অথচ উপজেলা ভূমি অফিস থেকে মাত্র কয়েক’শ গজ দূরে এই দুটি ড্রেজার মেশিন চলছে প্রশাসনকে কোন রকম তোয়াক্কা না করে। এসব নিয়ে এখন জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে আসলে এসব বালু দস্যুরা কি প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই সব কাজ চালিয়ে যাচ্ছে?