নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর ও পুলিশের যৌথ অভিযানে সকল প্রজাতির মাছের ঘাতক জাল চায়না চাঁই (চায়না দুয়ারী) জব্দ করা হয়েছে। গত সোমবার সন্ধ্যায় পদ্মা নদীর লৌহজং হতে কনকসার পর্যন্ত লৌহজং থানা পুলিশের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম। এসময় ১৫টি চায়না চাঁই জব্দ করা হয়। যার বাজারমূল্য ৭৫ হাজার টাকা। পরে জব্দকৃত চায়না চাঁইগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ় ও শ্রাবণ এই তিনমাস দেশীয় মাছের প্রজননের সময়। এসময় নদীতে জোয়ার আসে। লৌহজংয়ে কিছু অসাধু জেলে ও সাধারণ মানুষ এসময় নিষিদ্ধ চায়না চাঁই দিয়ে সাবাড় করছে দেশীয় মাছ। এ চাঁই দিয়ে মাছের পোনা থেকে শুরু করে বোয়াল মাছ পর্যন্ত ধরা পড়ে। এর ফলে বিলুপ্ত হচ্ছে দেশীয় মাছ। এখন অনেক প্রজাতির মাছ বিলুপ্তপ্রায়। এভাবে চললে আগামী ১০ বছর পর দেশীয় মাছ বলতে কিছুই থাকবে না। একসময় কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরা হতো। বাংলাদেশ সরকার কারেন্ট জাল ও চায়না চাঁই নিষিদ্ধ করেছেন। তারপরও অসাধু জেলে ও সাধারণ মানুষ মাছ ধরছে।
চায়না চাঁই পুরোপুরি নিষিদ্ধ করতে ও এ বিষয়ে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করছে লৌহজং উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর তা জানতে চাওয়া হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম বলেন, চায়না চাঁই বা চায়না দুয়ারী সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সেই অর্থে আমরা পদ্মা নদীতে প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করে থাকি। ইউনিয়ন পর্যায়েও অভিমান পরিচালনা করা হবে। নদী-নালা, খাল বিল ও পুকুরে কিছু কিছু মানুষ নিষিদ্ধ চায়না চাঁই ব্যবহার করে মাছ ধরছে। প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ যদি একটু সচেতন হন তাহলে দেশীয় মাছ বৃদ্ধি পাবে। মূলত সচেতনতাই পারে দেশীয় মাছ রক্ষা করতে।