নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়া উপজেলার টেঙ্গারচর ইউনিয়নের বিষদ্রোন ভাটেরচর গ্রামের সঞ্জয় চন্দ্র বাউল প্রেমের টানে ধর্মান্তরিত হয়ে হিন্দু থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে প্রেমিকাকে বিয়ে করেছে। ধর্মান্তরিত হওয়ার পর সঞ্জয় বাবু থেকে তার নাম মো. আল-আমীন শান্ত নামকরণ করা হয়েছে। গত সোমবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে ২ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। ধর্মান্তরিত যুবক নরসিংদীর পলাশ উপজেলার দড়িয়া গ্রামের রবি চন্দ্র বাউলের ছেলে। তার বাবা রবি চন্দ্র বাউলের চাকরির সুবাদে সে বিষদ্রোন ভাটেরচর গ্রামের আলাউদ্দিনের ভাড়া বাসায় থাকতেন। ধর্মান্তরিত যুবক মো. আল-আমীন শান্তর প্রেমিকা সানজিদা কুমিল্লা মেঘনা উপজেলার ভাওরখোলা ইউনিয়নের ওমরাকান্দ গ্রামের ফারুক হোসেনের মেয়ে। বিয়ের পর মো. আল-আমীন তার স্ত্রীকে নিয়ে ওমরাকান্দ গ্রামে তার শ্বশুর ফারুক হোসেনের বাড়িতে অবস্থান করছে।
জানা যায়, তাদেরকে একনজর দেখার জন্য ভিড় করছে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ। তার ধর্মান্তরিত হওয়ার বিষয়টি অনেকে নেতিবাচক হিসেবে নিলেও বেশিরভাগই ইতিবাচক হিসেবে নিয়ে নও মুসলিম হিসেবে মো. আল আমিনকে স্বাগত জানিয়েছে।
সঞ্জয় বাবু স্থানীয় মসজিদের ইমামের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মো. আল আমীন শান্ত হিসেবে নতুন নামকরণ করা হয়েছে। ধর্মান্তরিত হয়ে সে তার প্রেমিকাকে বিয়ে করেছে বলে নিশ্চিত করেন টেঙ্গারচর ইউপি সদস্য মোকাম্মেল হোসেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গার্মেন্টস কর্মী সানজিদা ঢাকা যাওয়ার পথে বাসে পরিচয় হয় দু’জনের। এসময় মোবাইল নম্বর আদান-প্রদান হয়। তাদের এভাবে এক বছর চলে যায়। সঞ্জয় মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে গিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সানজিদার সাথে দৈহিক সম্পর্ক করে। সানজিদা বিয়ের চাপ দিলে সে বিভিন্ন অজুহাতে কালক্ষেপণ করতে থাকে। এরইমধ্যে সানজিদার পিতা বিষয়টি অবগত হলে প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে সে প্রেমিকা সানজিদাকে বিয়ে করে।