নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, শিক্ষা মানুষকে প্রকৃত মানুষ করে তোলে। নতুন প্রজন্মকে আগামী দিনের নেতৃত্ব দেওয়ার মতো যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। আগামী প্রজন্মকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে।
গতকাল শনিবার মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বজ্রযোগিনী জে. কে উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সমিতির ৪০ বছর পূর্তি উৎসব ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠানে উদ্বোধকের বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান, বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম, মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মীর নাসির উদ্দিন উজ্জ্বল, বিশিষ্ট শিল্পপতি সিরাজুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক মো. জহিরুল ইসলাম, আলী আহম্মেদ রাসেল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাক্তন ছাত্র সমিতির সভাপতি মোঃ আব্দুর রশীদ শেখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, মানুষের সার্বক্ষণিক সঙ্গী হলো জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, স্মৃতি ও দর্শন। যা একজন মানুষের ভিতরে সবচেয়ে বেশি অঙ্কুরিত হয় শিক্ষাঙ্গন থেকে। ফলে প্রত্যেকটি শিক্ষিত মানুষের অনুভূতিতে তার শিক্ষাজীবন গভীরভাবে গ্রথিত। শিক্ষা মানবজীবনের মৌলিক অধিকার। শিক্ষা মানুষকে প্রকৃত মানুষ করে তোলে। শিক্ষা মানুষকে অন্ধকারের অচলাতয়ন ভেদ করে আলোর পথের সন্ধান দেয়। অশিক্ষা মানুষকে পশ্চাৎপদ করে।
বজ্রযোগিনী জে. কে উচ্চ বিদ্যালয় বিক্রমপুর অঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ। এই বিদ্যাপীঠের অসংখ্য মেধাবী শিক্ষার্থী আলো ছড়াচ্ছেন বিশ্বজুড়ে। আজ তেমনি জ্ঞানের দ্যুতি ছড়ানো অসংখ্য আলোকিত মানুষ আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছেন। যারা তাদের কর্মে আলোকিত করে চলেছে আমাদের সমাজ দেহকে। যারা এই বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বিদ্যালয়কে একটি আদর্শ বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করতে হবে। এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও পরিচালনা পর্ষদ সকলকেই দায়িত্বশীল হতে হবে। শিক্ষার্থীদেরও পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীকে আগামী দিনের নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে।
হাজার বছরের ঐতিহ্য ও ইতিহাস নির্ভর বিক্রমপুর জনপদে জগৎখ্যাত বহু মনীষী জন্মলাভ করেছেন। তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় জ্ঞান, বিজ্ঞান, ধর্মতত্ত্ব, দর্শন, শিক্ষা, ক্রীড়া, সাহিত্য ও সংস্কৃতির দেদীপ্যমান শিখা শুধু এই ভূ-খন্ডকেই নয়; বিশ্বপরিমন্ডলকেও করেছে আলোকিত।