নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে মানহানি ও হয়রানির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একটি পরিবার। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজদিখান প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের চর বিশ^নাথ গ্রামের মো. শাহ আলম। সংবাদ সম্মেলনে মো. শাহ আলম তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, বাসাইল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগ সভাপতি মো. আক্তারুজ্জামান দুলু আমাদের বিরোধিতা করে নানাভাবে সম্মানহানি ঘটাচ্ছে। সে জেলা প্রশাসক বরাবর মিথা তথ্য দিয়ে আমাদের ভোগান্তিতে ফেলতে চেষ্টা করছে। এই দুলু এলাকার কৃষকদের ভুল তথ্য দিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছে। তাদের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে একটি মহল আমাদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করেছে। সরকারি খাল দখল, ভরাট ও মাদক সেবন এসব মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাদের সামাজিক ও মানসিক হয়রানি ও সম্মানহানি করছে। আমাদের বাড়ির সাথে একটি সরকারি খালের দেড় শত ফুট পাইপ লাগানোর টেন্ডার দিয়েছে জেলা পরিষদ। সরকারিভাবে এ কাজের টেন্ডার পেয়েছে এন জাহান এন্টারপ্রাইজ। যার মালিক লৌহজং উপজেলার কলমা গ্রামের কামরুজ্জামান। তারা সেখানে খালের মধ্যে পাইপ বসানোর কাজ করছে। আমি বা আমার পরিবারের কেউ এই কাজে জড়িত না। এখানে কৃষক আছেন তারা আপনাদের তথ্য দিতে পারবে।
কৃষকেরা জানান, আমাদের আক্তারুজ্জামান দুলু বলেছে খাল ভরাট করে ফেলছে এলাকার কৃষি জমিতে পানি আসবে না। বৃষ্টির পানি জমলে বের হতে পারবে না। আপনারা জমি রক্ষা করতে চাইলে স্বাক্ষর করেন। আমরা বিশ^াস করে স্বাক্ষর দিয়েছি, কিন্তু এখন দেখি যার নামে অভিযোগ ও পত্রিকায় নিউজ করেছে সে এই কাজে জড়িত না। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাসাইল ইউনিয়নের চর বিশ^নাথ গ্রামের আব্দুল্লাহ আল মামুন, মনোয়ার হোসেন, আসলাম ও সতুরচর গ্রামের কৃষক লিয়াকত আলী, মীর হেসেন ভুইয়া, মো. বাবুল, মো. সায়েম, আইউব আলী প্রমুখ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওখানে কেউ ভরাট, পাকা খুঁটি বা মার্কেট নির্মাণ করেনি এবং শাহআলম এ বিষয়ে জড়িত না। তবে খালের মধ্যে ২ ফুট ডায়ার দেড় শত ফুট পাইপ রয়েছে। ঐ খালের ২ শত ফুট জায়গা ১৩ বছর আগে ৩ ফুট ডায়া পাকা পাইপ লাগিয়ে মাটি ভরাট করে সরকারিভাবে রাস্তা বানানো হয়েছে। বর্তমানে জেলা পরিষদ থেকে দেড়শত ফুট পাইপ লাগানোর কাজ পেয়েছে ঠিকাদার কোম্পানি এন জাহান এন্টারপ্রাইজ যার মালিক লৌহজং উপজেলার কলমা গ্রামের কামরুজ্জামান। ৩ ফুট ডায়ার পর ২ ফুট ডায়ার পাইপ লাগানোর কারণে ঐ এলাকার ৪টি গ্রামের মানুষ কৃষিকাজে ভোগান্তিতে পড়বে।
বাসাইল ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ঐ খালে সরকারিভাবে কাজ চলছিলো, সঠিক কাজ না হওয়ায় উপজেলা প্রশাসন কাজটি বন্ধ রেখেছে। ওখানে শাহআলম দখল বা নির্মাণ, ভরাট কিছু করেনাই। কাজ হলে ভরাট করলে শাহআলম দখল করতে পারে। কারণ খালের দুইপাড় তার জায়গা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে আমি এসিল্যান্ডকে পাঠিয়েছিলাম তিনি রিপোর্ট দিয়েছেন। আমি জেলায় রিপোর্টটি পাঠিয়েছি। খাল ভরাট হলে ঐ এলাকার কৃষি জমির পানি অপসারণ ও প্রবেশে সমস্যা হবে। তাই খাল ভরাট না করার সুপারিশ করা হয়েছে। এখনো ওখানে কেউ ভরাট দখল এমন কিছু করেনি।