নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রীনগর উপজেলা জুড়েই ঢাকা-দোহার মহাসড়কের বাঘড়া এলাকার দু’পাশে এক শ্রেণীর অসাধু কাঠ ব্যবসায়ীরা আইনের তোয়াক্কা না করে দীর্ঘর্দিন ধরে মহাসড়কের পাশে যত্রতত্র গাছের গুঁড়ি রাখছে। অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ততম সড়কে এভাবে কাঠ রাখার কারণে দূরপাল্লার পরিবহনের চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। জনসচেতনতার অভাবে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। পথচারীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। আবার প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। একাধিকবার অভিযোগ করেও আজানা কারণে আজ পর্যন্ত কোনো কিছু মানা হয়নি। যত্রতত্র কাঠ রাখায় ঘটছে দুর্ঘটনা। খালি হচ্ছে মায়ের কোল, পঙ্গুত্বের জীবন নিয়ে অনেকের পথ চলতে হচ্ছে। অথচ কর্তৃপক্ষের কোনো নজরদারি নেই। এতে করে সাধারণ মানুষের মনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে শুরু করেছে। বিশেষ করে ঢাকা-দোহার মহাসড়কসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যস্ততম রাস্তার দু’পাশে অসাধু ব্যবসায়ীরা গাছের বড় বড় গুঁড়ি ফেলে রেখে ব্যবসা করছে। সবসময় মহাসড়কের উপর ট্রাক দাঁড় করিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে বড় বড় কাঠের গুঁড়ি ট্রাকে তোলা হয়। এতে করে যানজটের সমস্যা হয়। এসব প্রতিরোধের জন্য কোন প্রকার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা বলে স্থানীয়রা জানান। ব্যবস্থা না নেয়ার কারণে অসাধু কাঠ ব্যবসায়ীদের কোন প্রকার থামানো যাচ্ছে না। এমনকি এরা সরকারি নিয়ম ও আইনকে তোয়াক্কা করছে না। সড়কের পাশে কাঠ ব্যবসায়ীদের কোন জায়গা নাই, কাঠ ফেলে রাখা হয় সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমিতে। সড়কের পাশে কাঠ রাখার কারণে পথচারীদের যাতায়াত করতে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। আবার সড়কের উপরে দাঁড় করিয়ে ট্রাকে কাঠ তোলা হয় ঘন্টার পর ঘন্টা। তখন যানজটের কারণে গাড়ির লাইন পড়তে থাকে। উপজেলার আমজনতা বলছেন, একটু নজর দিলে অসাধু কাঠ ব্যবসায়ীরা মহাসড়কের পাশে গাছ রাখা বন্ধ করে দিবে। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে জোরালো ভূমিকা না থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা সুযোগটি কাজে লাগিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে। একাধিক কাঠ ব্যবসায়ীদের নিজস্ব কোন ঘর বা জায়গা নেই। তারা সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমিতে অবৈধভাবে কাঠ রেখে ব্যবসা করছে। সড়কের পাশে গাছ রাখার কারণে রাতে নেশা সেবনকারীরা কাঠের উপরে বসে বসে নেশা সেবন করে। সড়কের দু’পাশে আবাসিক এলাকা। নেশার গন্ধে চলাচল করা লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে উঠে। সবমিলিয়ে উপজেলা প্রশাসন একটু নজর দিয়ে বিষয়টি আমলে নিলে পরিবেশ ভাল হত ও মহাসড়কের দু’পাশ পরিষ্কার হত বলে আশা করেন স্থানীয়রা। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই অবৈধভাবে জেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে তোলা হয়েছে এসব অবৈধ কাঠের মিল। আর কাঠের মিলগুলো সবই আবাসিক এলাকার মধ্যে বসিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাঠ কাটা হয়। এতে করে পরিবেশের মারাত্মক সমস্যা হয়।