নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজের সম্পত্তি বলতে শেষ সম্বল বসতবাড়িটুকুও দখলে নিতে মরিয়া ভূমিদস্যুরা। শেষ সম্বলটুকু বাঁচাতে দ্বারে দ্বারে ঘুরে প্রতিকার না পেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রতিবন্ধী নারায়ণ কান্ত গাঙ্গুলী। গতকাল সোমবার দুপুর ১টার দিকে মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের শফিউদ্দিন মিলনায়তনে তার বড় ভাই লক্ষীকান্ত গাঙ্গুলী ও ভাবি অর্চনা রানী গাঙ্গুলীকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। নারায়ণ কান্ত গাঙ্গুলী মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামের মৃত নরহরি গাঙ্গুলীর ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমার বাবা নরহরি গাঙ্গুলীর কাছে ১৯৮০ সালে আমাদের বাড়ির পাশের দশোত্তর গ্রামের আঃ রহমান মাঝি ও মৃত করিম মাঝি তাদের থাকার জমি না থাকায় তার আমাদের বাড়িতে থাকতে চাইলে তাদের ঘর তুলে থাকতে দেয়। ১০ বছর তারা আমাদের বাড়িতে থাকার পর ১৯৯০ সালের মার্চ মাসে একদিন রাতে করিম মাঝি আমার বাবাকে ঘর থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরে বাবা ৩ দিন নিখোঁজ ছিল। নিখোঁজের বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানালে ৩ দিন পর আমার বাবা পাগলের মতো আমাদের বাড়িতে ফিরে আসে। তারপর হতে সে সম্পূর্ণ অসুস্থ এবং মানসিক রোগী হয়ে পড়ে। সেসময় আমিসহ আমার পরিবারের অন্য ভাইবোনেরা ছোট থাকায় রহমান মাঝি ও করিম মাঝি আমাদের পাঁচগাঁও ও চিত্রকড়া মৌজার সাড়ে ৫ একর সম্পত্তি এক এক করে দখলে নিতে থাকে। বর্তমানে আমার বাবা ও চাচাদের সাড়ে ৫ একর সম্পত্তি করিম মাঝির ছেলেরা এবং রহমান মাঝি জোড় করে দখল করে রেখেছে। আমাদের বসতবাড়ির অধিকাংশ দখল করে নিয়েছে। বাকি অংশটুকুও দখল করার পাঁয়তারা করছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোবারক হোসেন বুলেট মাঝি বলেন, আমরা কাউকে মারিনি। নারায়ণ আগে থেকে অসুস্থ। আম পাড়া নিয়ে তাদের সাথে আমাদের একটু দ্বন্দ্ব হয়েছে। আমরা তাদের সাথে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে বসবাস করছি। আমরা তার বাবার কাছ থেকে জমি কিনেছি, বৈধ কাগজ আছে।
এ ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ী থানার ওসি রাজিব খাঁন বলেন, আম পাড়ার ঘটনায় ২ পক্ষকে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলা হয়েছে। থানায় অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।