নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রীনগর উপজেলার আটপাড়া ইউনিয়নের বাড়ৈগাঁও বাজার সংলগ্ন কর্কটপাড়া সড়কের পাশে অবৈধভাবে বালু ফেলে ড্রেজার সংযোগের মাধ্যমে কৃষিজমি ও জলাশয় ভরাট বাণিজ্য করা হচ্ছে। এতে সড়কে ধূলাবালি জমাট বাঁধাসহ ও ছাড়পত্রহীন ড্রেজারের বিকট শব্দে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। আটপাড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টুর বিরুদ্ধে অবৈধ ড্রেজার বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাড়ৈগাঁও বাজারের সামান্য দক্ষিণ দিকে কর্কটপাড়া নতুন কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন পাকা সড়কের পূর্বপাশে ড্রাম ট্রাকে দূর থেকে বালু এনে ফেলে বিশাল স্তুপ করা হয়েছে। সড়কের ঢালুতে অবৈধভাবে ড্রেজার পাইপ লাইন সংযোগ দিয়ে বালু নেয়া হচ্ছে। এসময় কয়েকজন শ্রমিককে পাইপের মাধ্যমে বালুর স্তুপে পানি দিতে দেখা গেছে। সড়কের পাশে এভাবে ড্রেজারের সাব-স্টেশন স্থাপন করে পাইপে পানি ঢালার ফলে সড়কের শোল্ডারের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হচ্ছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বালুবাহী ড্রাম ট্রাক থেকে বালু পড়ে সড়ক জুড়ে বালুর স্তর জমাট বাঁধছে। সড়কে অন্যান্য যানবাহন চলাচলের কারণে এসব জমাট বাঁধা ধূলাবালি উড়ে পথচারীদের গায়ে এসে পড়ছে। বালু ভর্তি ড্রাম ট্রাকের ওভারলোডিংয়ে পাকা সড়কের বিভিন্ন স্থান দেবে যাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানায়, মিন্টু মেম্বার একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে সরকারের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে বিভিন্ন ফসলী জমিসহ জলাধার ভরাট বাণিজ্য করছেন। রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তাহলে বলার কিছু থাকে না। তার ড্রেজার বাণিজ্যে সড়কের ক্ষতিসাধন হওয়ার পাশাপাশি রাস্তায় ধূলাবালির সৃষ্টি হচ্ছে। সাধারণ মানুষ প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পান না। ধূলাবালির কারণে পথচারীরা স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে পড়ছেন। অবৈধ ড্রেজারে ভরাট বাণিজ্য ও স্ক্যাভেটর (ভেঁকু) মেশিন দিয়ে যত্রতত্রভাবে কৃষিজমি কাটার মহোৎসব চলছে বাড়ৈগাঁও ও পাটাভোগ চকে। এসব কর্মকান্ড বন্ধের দাবিতে ও কৃষিজমি রক্ষার দাবিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়িত্বশীলদের সুদৃষ্টি কমনা করেছেন এলাকাবাসী। অপর একটি সূত্র জানায়, বাড়ৈগাঁও বাজারের পশ্চিম দিকে প্রধান সড়কের সেতুর মুখ বন্ধ করে কৃষিজমিসহ জলাশয় ভরাটের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বাড়ৈগাঁও এলাকার হাজী আলতাফ হোসেন নামে এক ব্যক্তি সেতুর উত্তর পাশে ভরাটের চেষ্টা করছেন। সেতুর মুখ আটকিয়ে ভরাট করা হলে দুই পাশে অসংখ্য কৃষিজমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় গুরুত্বের সাথে সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এখনও কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মো. মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টুর কাছে জানতে চাইলে সড়কের পাশে ড্রেজার স্থাপন করার সত্যতা স্বীকার করেন। একজন জনপ্রতিনিধির দ্বারা অবৈধ ড্রেজার বাণিজ্য ও জনসাধারণের ভোগান্তির সৃষ্টি করা কতটা যুক্তিসঙ্গত এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।