নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে এক ইজারাদারের বিরুদ্ধে মালিকানা জায়গায় জবরদখল করে দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ভাগ্যকুল বাজারের ইজারাদার শামসু শিকদারের বিরুদ্ধে জনকল্যাণের দক্ষিণ পশ্চিম পাশের জায়গা জবরদখল করে দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ করেন ভাগ্যকুল বাজারের ব্যবসায়ীরা। শামসু শিকদার ভাগ্যকুলের মৃত ছাবের শিকদারের পুত্র। তার বাড়িতেও সরকারি জায়গায় পাকা ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ রয়েছে। ভাগ্যকুল বাজারের ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, মৃত ছাবের শিকদারের পুত্র শামসু শিকদার অন্যের মালিকানা জায়গায় জবরদখল করে রাতের অন্ধকারে দোকান ঘর নির্মাণ করছে। বিগত বছরগুলোতে আমরা দেখে আসছি সামসু শিকদারের এখানে কোনো জায়গা ছিলো না। হঠাৎ করে সে কিভাবে এ জায়গার মালিক হলো এবং কিভাবে সে এখানে দোকানঘর নির্মাণ করছে তা নিয়ে ভাগ্যকুল বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ভাগ্যকুল বাজার কমিটির সভাপতি প্যারিশ সারেং জানান, বাজারের মধ্যে শামসু শিকদার সবচেয়ে অন্যায় কাজ করতেছে। সে বাজারের ডাক আইনা জুলুম করতেছে। এর আগে ভাগ্যকুল বাজারে কারো জায়গায় কেউ হাত দেয়নাই। কোনো অন্যায় ছিলো না, কোনো জুলুম ছিলো না। শামসু শিকদার বাজারের ডাক আইনা চর দখলের মতো করে মানুষের জায়গা দখল করতাছে। ও ওর বউ নিয়ে বাজারে চইলা আসে জায়গা দখল করতে। সরেজমিনে গিয়ে ও ভাগ্যকুল বাজারের ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভাগ্যকুল মৌজার ৫৩ নং খতিয়ানের ১০৬ নং দাগের মৃত মান্নান সরদার ও তার স্ত্রী মাবিয়া বেগম এর জায়গায় শামসু শিকদার জবরদখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করছে। এ ঘটনায় গত ৫ তারিখ বুধবার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শ্রীনগরের কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মোঃ মোসলেম দোকানঘর নির্মাণের কাজ বন্ধের নির্দেশ দেয়। এরপরেও শামচু শিকদার রাতের আঁধারে দোকানঘর নির্মাণের কাজ চালিয়ে যায়। পরে গত ১২ তারিখ বুধবার ভাগ্যকুল ভূমি অফিসের তহসিলদার (ভূমি সহকারী কর্মকর্তা) আব্দুল হান্নান কাজ বন্ধ করে মিস্ত্রিদের যন্ত্রাংশ তার অফিসে নিয়ে আসেন। যা এখনো তার জিম্মায় রয়েছে। এ বিষয়ে ভাগ্যকুল ভূমি অফিসের তহসিলদার (ভূমি সহকারী কর্মকর্তা) আব্দুল হান্নান বলেন, রাতের আঁধারে দোকানঘর নির্মাণ করায় মিস্ত্রিদের যন্ত্রাংশ জব্দ করা হয়েছে। শামসু শিকদারকে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শ্রীনগরের কার্যালয়ে রিপোর্ট প্রদান করা হয়েছে।