নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনে সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণ করতে হবে। উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
গতকাল বুধবার মুন্সীগঞ্জের ইতিহাস প্রসিদ্ধ জমিদার যদুনাথ রায়ের বসতভিটায় লক্ষ্মী নারায়ণ জিউর মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। সাবেক সচিব দুলাল কৃষ্ণ সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রী সমর ঘোষ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মসিউর রহমান মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফাজ্জল হোসেন সরকার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, শ্রীনগর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধির দত্ত, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহানা পারভীন, রাঢ়ীখাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারী খান, ভাগ্যকুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন শাহাদাৎ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুখেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও মন্দিরের প্রধান উপদেষ্টা স্বপন কুমার মোদক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সহ-সম্পাদক ও মুন্সীগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি বলরাম বাহাদুর।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, আমাদের মহান স্বাধীনতার সংগ্রামে এ দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলমান সবাই রক্ত দিয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রধান ইশতেহার ছিল- বাংলাদেশ হবে অসাম্প্রদায়িক সম্প্রতির দেশ। এ দেশ সবার দেশ। যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে।
তিনি বলেন, আমরা উদার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী। বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার ও সমমর্যাদা রয়েছে। শ্রেণি-বর্ণ, ধনী-গরীব, রাজা-প্রজা সকলের সমান অধিকার। সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের নিজস্ব ধর্ম পালনের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে। সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মাধ্যমে বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীগণ পাশাপাশি বসবাস করছে। সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বন্ধনকে সমুন্নত রাখতে হবে। সমাজে সৌহার্দ্য, সাম্য, শান্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় আত্ম-সংযম ও আত্মত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হতে হবে। ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি, পেশা নির্বিশেষে সকল মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে।