নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে থামছে না ধলেশ্বরী নদী থেকে মাটি কেটে বিক্রি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসন ম্যানেজ করেই চলছে এই অবৈধভাবে মাটি কাটা। এ বিষয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রিকায় একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা যায়, উপজেলাা বালুচর ইউনিয়নের কয়রাখোলা মৌজার বাবুল মুন্সী ব্রিকফিল্ডের স্বত্ত্বাধিকারী আমিনুল মুন্সী কিছুদিন ধরে নদীর মাটি কাটছে। এছাড়া আমিনুল মুন্সীর বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিকবার উপজেলা প্রশাসন মোবাইল কোর্ট করেছে। তিনি এলাকায় কয়েকটি ইটভাটার মালিক ও প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় লোকজন তার বিরুদ্ধে কিছু বলার সাহসও পায় না। তবে নদীর মাটি অবৈধভাবে ভেঁকু মেশিন দিয়ে কাটতে থাকলে যেকোনো সময় নদীর পাড়ের ফসলি জমিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এলাকাবাসীরা বলেন, মাটি কাটার বিষয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নে একধিকবার ভ্রাম্যমাণ আদালত করা হলেও এখানে নদী থেকে সরকারি মাটি কাটার বিষয়েও কোন প্রতিবাদ করা হচ্ছে না ও প্রশাসনও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না । এখন সে রাত-দিন ধরে মাটি কাটছে। আমরা চাই এই নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্ধ হোক।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে হাবিবা ফারজানা বলেন, বাবুল মুন্সীকে মাটি কাটতে নিষেধ করা হয়েছে। আর তার মাটি কাটা তো এখন বন্ধ আছে। প্রশাসন ম্যানেজ করে মাটি কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি দেখছি। আপনাদেরকে ফিডব্যাক দেওয়া হবে।