নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার শুলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে পক্ষ নেওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিতে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে দুর্নীতির অভিযোগে এনে নিরপেক্ষ নিয়োগের দাবি করেছেন। সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। নিয়োগ করতে প্রতিষ্ঠানটিতে ৪ বার নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। আগামী নিয়োগ পরীক্ষা বসছে ৯ মার্চ বৃহস্পতিবার। বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগে সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও এলাকাবাসী।
বিদ্যালয় ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে আগামী ৯ মার্চ সহকারী প্রধান শিক্ষক ও ল্যাব এসিস্ট্যান্ট, নিরাপত্তাকর্মী, নৈশপ্রহরী এবং আয়া নিয়োগে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে পরীক্ষায় হাঁসাড়া কালী কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ কাদীর খানকে পক্ষপাতিত্ব করে পছন্দের প্রার্থী হিসেবে টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও সাবেক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি নিখিল চক্রবর্তী নিরপেক্ষ পরীক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট মৌখিকভাবে আবেদন করেন।
শুলপুর বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি নিখিল চক্রবর্তী বলেন, যখন শুনলাম টাকার বিনিময়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে তখন নিরপেক্ষ শিক্ষক নির্বাচনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবগত করেছি।
শুলপুর বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি আওলাদ হোসেন মোল্লা বলেন, কোন টাকা নিয়ে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হবে না। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমীর চন্দ্র শাখারী বলেন, আমি কোন স্বেচ্ছাচারিতা করছি না। পরীক্ষার মাধ্যমেই সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মিজানুর রহমান ভূইয়া বলেন, আমি এসব কিছুই জানি না। তবে নিয়মের মধ্যেই শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।