নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের ডাকের হাটি ও তুলশীখালি দুটি গ্রামে দেখা দিয়েছে ধলেশ্বরী নদীর ভাঙন। ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে বসতভিটা, বৈদ্যুতিক টাওয়ার, ফসলি জমিসহ বিস্তীর্ণ এলাকা। অব্যাহত ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
গতকাল শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের তুলশীখালী বাজার সড়কে এ মানববন্ধন হয়। এতে শত শত মানুষ অংশ নেন এবং ভাঙনরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত এক বছরে এই এলাকায় ধলেশ্বরীর ভাঙন বেড়েই চলেছে। ভাঙনে আমাদের বসতভিটা ও ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। আমরা পরিবার নিয়ে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছি। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি আমরা।
স্থানীয় ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহীদুল খান বলেন, আমার এই ওয়ার্ডের প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ধলেশ্বরীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। ধলেশ্বরীর ভাঙনে এ অঞ্চলের চল্লিশটিরও বেশি পরিবার ঘরবাড়ি হারিয়েছে। বর্তমানে দিশেহারা অবস্থা তাদের।
চিত্রকোট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার ইয়াকুব হান্নান জানান, এখনও শতাধিক পরিবার ভাঙন আতঙ্কে আছে। আমন ধানের ক্ষেতসহ শত শত বিঘা ফসলি জমি নদীতে বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই গ্রাম দুটি নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। আমরা এই মানববন্ধন কর্মসূচির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।
চিত্রকোট ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল হুদা বাবুল বলেন, ইউনিয়নের ধলেশ্বরীর তীরের মানুষের দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই নদী ভাঙন। নদীর অব্যাহত ভাঙনে দিনে দিনে দীর্ঘ হচ্ছে নিঃস্ব মানুষের তালিকা। আমি ভাঙন রোধে উপজেলা প্রশাসনসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখব এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাবো।
মানববন্ধনে অংশ নেন চিত্রকোট ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল হুদা বাবুল, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার ইয়াকুব হোসেন, ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহীদুল খান, তুলশী রিভারভিউ এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোক্তার হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুর আলমসহ ২ শতাধিক নারী-পুরুষ। ঘন্টাব্যাপি এই মানববন্ধন করেন তারা।
সিরাজদিখানে নদী ভাঙন রোধের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
আগের পোস্ট