নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে গত বুধবার দুপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় প্রতিপক্ষের ৪ জন আহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার ৪ দিন অতিবাহিত হলেও গ্রেপ্তার হয়নি গ্যাংয়ের অন্যান্য সদস্যরা। এদিকে প্রতিপক্ষের উপর হামলার সাথে সরাসরি জড়িত থাকা উপজেলার হিরনের খিলগাঁও গ্রামের জনি সরদার (২২), জুবায়ের (২০) ও রাজদিয়া গ্রামের অভি (১৮) ও আরহাম (১৭)দের মামলায় আসামী না করায় তারা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে করে কিশোর গ্যায়ের সদস্যরা সক্রিয়ই থেকে যাচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার সকালে কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের সাথে বেপরোয়াভাবে মোটর সাইকেল চালানোকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জেরে ওইদিন দুপুর আনুমানিক পৌনে ২টার দিকে ইছাপুরা হাওলাদার বাড়ির মসজিদের সামনে ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন হাওলাদারের নাতি সতেজ এর নেতৃত্বে মো. জাহিদুল ইসলাম (১৭), মো. সজিব (১৮), তরিকুল ইসলাম (১৭), শেখ তনিম কাউসার (১৭), মো. সাব্বির হোসেন (১৬), মো. নাফিজ শেখ (১৮), সিয়াম শেখ (১৭), তিসাত দাস (১৮), জিহাদ হাওলাদার (১৭), জনি সরদার (২২), জুবায়ের (২০), অভি (১৮) ও আরহাম (১৭)সহ ২০-৩০ জন প্রতিপক্ষ কিশোর গ্যাংয়ের উপর এসএস পাইপ ও ছেন দিয়ে হামলা চালায়। এতে প্রতিপক্ষের আল আমিন (২২), আশিক (২০), মারুফ (১৮) ও অপু (১৮) নামে চার কিশোর আহত হয়। এ ঘটনায় হামলায় আহত আল আমিনের মাতা মোসাঃ শিলা বেগম বাদী হয়ে ১০ জনকে এজাহারনামীয় আসামীসহ ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে সিরাজদিখান থানায় মামলা দায়েরের পর কিশোর গ্যাংয়ের ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। কিন্তু মামলা দায়েরের ৪ দিন অতিবাহিত হলেও মামলার ঘটনায় জড়িত কিশোর গ্যায়ের অন্যান্য সদস্যদের এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি কিশোর গ্যাং সক্রিয় রয়েছে। যাদের দ্বারা ভবিষ্যতে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্যদের তালিকা করে তাদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানান সুশীল সমাজের সচেতন মহলের লোকজন। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিরাজদিখান থানার এস. আই আসাদুজ্জামান বলেন, আমি মামলাটির তদন্ত করছি। আমি এখন ছুটিতে আছি। পরে সাক্ষাতে এসে আমাকে নামগুলো দিয়েন আমি যাচাই বাছাই করে দেখবো।