নিজস্ব প্রতিবেদক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আর মাত্র চার মাস। এই চার মাসেই সংসদ নির্বাচনকেন্দ্রিক সব ধরনের কর্মযজ্ঞ শেষ করতে হবে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশনকে। আগামী সোমবার (২১ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনের সভায় প্রায় সব আলোচ্য বিষয়ই হবে সংসদ নির্বাচনকেন্দ্রিক। তবে এর মধ্যে একটি আলোচ্য বিষয় সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনারদের ‘পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার’ সংক্রান্ত। তাহলে কি আরও সুযোগ-সুবিধা চাচ্ছে কমিশন, এ আলোচ্য বিষয়ে এমন প্রশ্ন আসতেই পারে।
এর আগে, গত ৩১ জুলাই আচমকাই প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন। তবে ওই বৈঠকে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে সাংবাদিকদের কিছু জানানো হয়। যদি সিইসি বলেছিলেন তার অফিস (নির্বাচন কমিশন সচিবালয়) পরবর্তীতে সাক্ষাৎ বিষয়ে বিস্তারিত গণমাধ্যমকে জানাবেন। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে আর কিছু জানায়নি ইসি। তবে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতেই ইসির প্রতিনিধি দল সুপ্রিম কোর্টে বলে জানিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
এসময় সিইসি জানান, আমাদের প্রধান বিচারপতি শপথ পড়িয়েছেন। আমি বিচার বিভাগে ছিলাম। তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছি। এটা আমাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ। অন্য কোনো বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে আমি কথা বলবো না। নির্বাচন ইস্যুতে হাইকোর্টে যে রুল তা নিয়ে আমার অফিস কথা বলবে।
নির্বাচন কমিশনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের বিশেষ আইনে আরও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে দীর্ঘদিন আলোচনা হচ্ছিল। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সিইসির গত ৩১ জুলাই যে সাক্ষাৎ হয়েছিল, সেখানেও এসব বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। কারণ, প্রধান বিচারপতি ও সিইসিসহ কমিশনাররা বিশেষ আইনে সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন।
এছাড়া, আগামী সোমবার কমিশন সভায়ও সিইসিসহ কমিশনারদের ‘পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার আইন-২০২৩’ নিয়ে আলোচনা করা হবে। এটা আলোচ্যবিষয়ের প্রথমেই আছে। যেহেতু কমিশন সভায় এটি নিয়ে আলোচনা করা হবে, সেহেতু বলাই যায় নিজেদের ক্ষমতা বা সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে কিছু একটা করতে চাচ্ছে বর্তমান কমিশন।
সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে চায় নির্বাচন কমিশন
আগের পোস্ট