নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে ৭ম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার ছাত্রীর পিতা থানায় দুইজনসহ অজ্ঞাত আরো তিনজনকে আসামী করে অভিযোগ করলে একজন আসামী কামারখাড়া গ্রামের আকবর মাঝির ছেলে লিমন মাঝিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অপর আসামী দিঘীরপাড় ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ভোলা হালদারের ছেলে রিহান হালদার ও অজ্ঞাত ৩ জন পলাতক রয়েছে। ছাত্রীর পিতা জানান, করোনার কারণে স্কুল বন্ধ ছিলো। কিন্তু দিঘীরপাড় এসি ইনস্টিটিউট এর প্রধান শিক্ষক স্কুল খোলা রেখেছিল। তাই আমার মেয়ে প্রাইভেট পড়ার জন্য বিদ্যালয় গিয়েছিল। আসামীরা আমার মেয়েকে জোরপূর্বক স্কুল ভবনের দ্বিতীয় তলার সিড়ি কোঠায় নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে এবং তার ভিডিও ধারন করে বিভিন্ন ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে শেয়ার করে। বিষয়টি আমি জানতে পেরে টঙ্গীবাড়ী থানায় অভিযোগ করি। পরে দিঘীরপাড় তদন্তকেন্দ্রের পুলিশরা একজনকে আটক করে পুলিশি পাহারায় টঙ্গীবাড়ী থানায় নিয়ে যায়। স্থানীয়রা জানান, ভোলা মেম্বারের ছেলে রিহান ইতিপূর্বেও একই ধরনের অপরাধ করেছিল। তখন স্কুল কমিটি তাকে টিসি দিয়ে বের করার কথা বললেও স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেনের সাথে রিহানের পিতার সু-সম্পর্ক থাকায় তা আর হয়নি। আর প্রধান শিক্ষকের দূর্যোগ মূহুর্তে স্কুল খুলে রাখার সিদ্ধান্তও ঠিক হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর কম উপস্থিতির সুযোগ নিয়েছে ধর্ষণ চেষ্টাকারীরা।
এ বিষয়ে টঙ্গীবাড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ হারুন-অর-রশিদ জানান, স্কুলছাত্রী ধর্ষণের চেষ্টা, ভিডিও ধারন ও শেয়ার করার অভিযোগে ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগটির তদন্ত চলমান, দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টঙ্গীবাড়ীতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ ; গ্রেফতার ১ ও ইউপি সদস্যের ছেলেসহ পলাতক ৪
আগের পোস্ট