নিজস্ব প্রতিবেদক
পদ্মা সেতু দেখতে গিয়ে ডাকাতের কবলে পড়েছে মুন্সীগঞ্জ থেকে যাওয়া দশনার্থীরা। ডাকাতের হাত থেকে বেঁচে আসা দশনার্থীরা জানায়, গত বৃহস্পতিবার মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার আধারা ইউনিয়নের চিতলিয়া বাজার থেকে ট্রলারযোগে নানা শ্রেণীপেশার ২৯ জনের একটি দল পদ্মা সেতু দেখতে রওনা হন। ট্রলারটি বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে পদ্মা সেতু এলাকার লৌহজং উপজেলার গাঁওদিয়াচর মৃধা বাড়ির সামনে আসলে ৯ থেকে ১০ জনের ডাকাত দল স্পিডবোটযোগে এসে দর্শনার্থীদের ট্রলারটিকে গতিরোধ করে ট্রলারে থাকা দশনার্থীদের মারধর করে তাদের হাতে থাকা ৩৪টি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। পাশাপাশি গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন, পকেটে থাকা ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডগুলো ছিনিয়ে নেয়। প্রায় ৫ লাখ টাকার মতো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ জন দর্শনার্থী আহত হয়েছে।
এ বিষয়ে ট্রলারে থাকা দর্শনার্থীরা জানায়, ডাকাতরা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ছিলো। কয়েকজন ডাকাতদের আমরা চিনতে পেরেছি। মোহনপুরের কুখ্যাত ডাকাত সরদার বাবলা এই ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত। বাবলার শ^শুরবাড়ি মিঝিকান্দি। এছাড়াও ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত মিঝিকান্দি গ্রামের শেরু মাঝির পুত্র আক্তার, কালিরচর গ্রামের মোহাম্মদের পুত্র কানা জহির ওরফে জহির, মিঝিকান্দি গ্রামের গণি সিকদারের পুত্র মাকসুদ সিকদার, আমিনউদ্দিন মাঝির পুত্র সেলিম মাঝি। তারা ডাকাতি শেষে স্পিডবোটযোগে পালিয়ে যায়। পরে দর্শনার্থীরা ৯৯৯-এ ফোন করে ডাকাতির বিষয়টি জানালে সাথে সাথে মাওয়া নৌপুলিশ ঘটনাস্থলে আসলেও ডাকাতদলের কাউকে আটক করতে পারেনি।
জানা যায়, ঘটনাটি যেহেতু লৌহজং থানায় পড়েছে তাই ঐ থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ডাকাতির ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নান্নু মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, বাবলা ঐ ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত। তার সাথে আক্তার, জহির, মাকসুদ সিকদার, সেলিম মাঝিও জড়িত। তাদের গ্রেফতার করলে লুটে নেওয়া স্বর্ণ, টাকা-পয়সা ও মূল্যবান জিনিসপত্র উদ্ধার করা সম্ভব। মিঝিকান্দি থেকে কয়েকজন দশনার্থীও পদ্মা সেতু দেখতে যায় তারাই বাবলা ডাকাতসহ অন্যদের চিনে ফেলে। তারা সবাই মিঝিকান্দি গ্রামে বেশি থাকে।
মিঝিকান্দির অনেকে জানান, বাবলার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। ঐ ডাকাতির ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়িতে মৌখিক অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার একই দিনে হাঁসাড়া বানারীতে একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে যার মামলা হয়েছে টঙ্গীবাড়ী থানায়।
এ বিষয়ে মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক মো. আবু তাহেরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার নম্বরটি ফরওয়ার্ড থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে লৌহজং থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, এ ঘটনায় টঙ্গীবাড়ী থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।