নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের ছয় উপজেলায় নতুন করে আরও ৬৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যা এখন পর্যন্ত এ জেলায় একদিনে সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮০২ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৪২ জন এবং মারা গেছেন ২১ জন। করোনা পরীক্ষার ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছেন আরও ৩৩৭ জন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ৪টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল কালাম আজাদ। সিভিল সার্জন জানান, গত ৩০ ও ৩১ মে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনে (নিপসম) পাঠানো নমুনার মধ্যে ২৭৫ জনের ফল এসেছে। সেখানে ৬৯ জনের করোনা পজিটিভ হওয়ার কথা জানানো হয়। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩১ জন, টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় ৯ জন, সিরাজদিখান উপজেলায় ৯ জন, লৌহজং উপজেলায় ১১ জন, শ্রীনগর উপজেলায় ৫ জন ও গজারিয়া উপজেলায় ৪ জন রয়েছেন। সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, নিরবে করোনাভাইরাস বিস্তার লাভ করছে। এ মুহূর্তে জনসচেতনতা বৃদ্ধি না হলে তা ভয়াবহ পরিস্থিতি ধারন করবে। ইতোমধ্যে মুন্সীগঞ্জ জেলায় ২১ জন মারা গেছেন। তাই ব্যক্তি উদ্যোগে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে পারলে সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব। জেলার সর্বত্রই করোনা ছড়িয়ে পড়েছে এমন পরিস্থিতিতে মাস্ক ছাড়া বাড়ি থেকে বের হওয়া যাবে না। সকল ধরনের ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। এসময় উদ্বেগ প্রকাশ করে সিভিল সার্জন আরো বলেন, মানুষের মাঝে সচেতনতার কোনো বালাই নেই। যদি পুরো দেশ রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে ভাগ করা হয় তাহলে মুন্সীগঞ্জ জেলা রেড জোনে অন্তর্ভুক্ত হবে বলে আশঙ্কা করছে এ কর্মকর্তা। জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার ২৭৫ জনসহ জেলার মোট ৪ হাজার ৭৭৫ জনের নমুনা পাঠানো হয়। ইতোমধ্যে ৪ হাজার ৪০৮ জনের নমুনার ফল পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত সদর উপজেলায় ৩৮৬ জন, টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় ৫২ জন, সিরাজদিখান উপজেলায় ১১৩ জন, শ্রীনগর উপজেলায় ৭৯ জন, লৌহজং উপজেলায় ৮৫ জন এবং গজারিয়া উপজেলায় ৮৭ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সদরে একজন স্বাস্থ্যকর্মীসহ ১৩ জন, টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় তিনজন, সিরাজদিখান উপজেলায় একজন, শ্রীনগর উপজেলায় একজন ও লৌহজং উপজেলায় তিনজন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
এদিকে, নতুন করে সদর উপজেলায় ১০ জন ও টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় ৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এ নিয়ে জেলায় ২৪২ জন করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরলেন। এর মধ্যে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় ১০৩ জন, সিরাজদিখান উপজেলায় ৪৬ জন, শ্রীনগর উপজেলায় ৩৯ জন, টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় ২৬ জন, লৌহজং উপজেলা ১০ জন ও গজারিয়া উপজেলায় ১৮ জন রয়েছেন।