নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার খিদিরপাড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ৩০ বছরের পুরাতন মিঠুসার বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৫ বছরের পরিত্যক্ত টিনশেড ভবন স্কুল অপসারণের দাবি এলাকাবাসীর। স্কুলের টিনশেড ভবনটি কালবৈশাখী ঝড়ের দুর্ঘটনা ঝুঁকিতে এলাকাবাসী অসন্তেুাষ প্রকাশ করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চার কক্ষ বিশিষ্ট একটি পুরাতন টিনশেড ঘর, ভাঙ্গা বেড়া, ভাঙ্গা চাল, দরজা-জানালা নেই। বিদ্যালয়টি যাতায়াতের রাস্তার পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। পুরাতন দেয়ালে লেখা আছে বেসরকারী মিঠুসার প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ৩০ বছরের পুরাতন ভবনটি ১৫ বছর যাবত পরিত্যক্ত পড়ে রয়েছে। স্কুলটির উত্তর ও দক্ষিণে দুটি সরকারি স্কুল থাকায় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ছাত্র-ছাত্রীর অভাবে স্কুলটি আর আগাতে পারেনি। এখন পরিত্যক্ত পড়ে আছে। বেসরকারী স্কুলটির কোন কর্তৃপক্ষের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এলাকাবাসী বলেন, দ্রুত ঐ পরিত্যক্ত ভবনটি ভেঙ্গে অপসারণ না করলে দূর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে।
মিঠুসার ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল খালেক মল্লিক বলেন, বিষয়টা আমরা দেখছি। যেহেতু দীর্ঘদিন যাবত পরিত্যক্ত হয়ে বেসরকারি স্কুল ভবনটি পড়ে আছে। এটি অপসারণের জন্য জোর দাবি করছি। এখানে মাদ্রাসা এবং মসজিদ আছে। স্কুলটি অপসারণ হলে এখানে ঈদগাহ ও জানাজায় ব্যবহার যোগ্য স্থান হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
তার সাথে একমত প্রকাশ করেন মো. জাহাঙ্গীর হাওলাদার, মো. করিম হাওলাদার, মো. শাহ আলম মল্লিক, মো. আমির হোসেন খানসহ অনেকেই।
মো. শাহীন হোসেন খান বলেন, বর্তমান ডিজিটাল যুগে আমরা এই এলাকার মানুষ অনেক পিছিয়ে আছি। ছোটবেলা থেকে দেখছি ঐ স্কুলটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে আছে। সমাজের কোন দায়িত্বশীল ব্যক্তি কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। আমাদের এলাকার যুবকদের পক্ষে থেকে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি অপসারণের জন্য লৌহজং প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি। দুঃখজনক হলেও সত্য, এলাকার মানুষ জানাজার জায়গাটুকু আমাদের নাই। অথচ ঐ জায়গা জুড়ে দীর্ঘ টিনশেড স্কুলটি দখল করে রেখেছে। যা এলাকার মানুষের কোন কাজেই আসে না।
খিদিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য কামাল হোসেন বলেন, মিঠুসার এলাকার মানুষের এই স্কুলটি গলার কাঁটা। দীর্ঘদিন যাবত পরিত্যক্ত ভবনটি অপসারণের দাবির সাথে আমি একমত। আমি প্রশাসনের কাছে অপসারণের দাবি জানাই। কালবৈশাখী ঝড়ে টিনশেড থেকে টিন উড়িয়ে হতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।
লৌহজং উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেন তপন বলেন, আমি মৌখিকভাবে বিষয়টি অবগত আছি। মিঠুসার এলাকার লোকজন আমার কাছে এসেছিলো। আমি এলাকাবাসীকে উপজেলা পরিষদে এ বিষয়ে লিখিত দিতে বলেছি।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল আউয়াল বলেন, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।